ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা তুঙ্গে, ট্রাম্পের পাশে ইসরায়েল
উপসাগরীয় অঞ্চলে যে কোনো ধরনের সংঘাত অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান। ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের টানা উত্তেজনার মাঝে রোববার দেশটির সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। দুই দেশের মাঝে এমন উত্তেজনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানে হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার পর তা বাতিল করেছেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। কারণ এতে ১৫০ জন ইরানির প্রাণহানির ঘটতো। এর মাধ্যমে তিনি তেহরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার বার্তা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন।
শনিবার ইরান বলছে, তারা যে কোনো ধরনের হুমকির দৃঢ় জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশীদ বলেছেন, এই অঞ্চলে যদি কোনো ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে তাহলে কোনো দেশই এটি নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ এবং সময় পাবে না।
আরও পড়ুন : গুলিতে সৌদি আরবের ৮ সেনা নিহত
তিনি বলেন, এ অঞ্চলে কোনো ধরনের অসদাচরণ না করে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জীবন রক্ষা করার জন্য দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অবশ্যই কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ইসরায়েল ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচির জেরে দীর্ঘদিন ধরে তেহরানে হামলার হুমকি দিয়ে আসছে। তেহরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে চলমান উত্তেজনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বোঝাপড়ায় পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।
ইসরায়েলের আঞ্চলিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী জাচি হানেজবি ইসরায়েল রেডিওকে বলেন, ইরানের ১৫০ জন নাগরিকের নিষ্ঠুর পরিণতি থেকে রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বড় ধরনের স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। একই সঙ্গে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালাতে ইসরায়েল বাধা দেবে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ভারতে মোদির নামে মসজিদ?
ইসরায়েলি এই মন্ত্রী বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে কোনো ধরনের উসকানি দেখা দিলে ইরানীদের ওপর হামলা চালাতে পারবে ওয়াশিংটন। এদিকে, সোমবার থেকে ইরানের ওপর নতুন করে আরো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/এমএস