ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোরভাবে প্রতিহত করতে প্রস্তুত ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ২২ জুন ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হুমকি কঠোরভাবে প্রতিহত করার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাভি তেহরানের পক্ষে শনিবার এই হুঁশিয়ারি দেন। ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা তাসনিমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইরান সীমান্তে কোনো রকমের সীমা লঙ্ঘন মেনে নেয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো আগ্রাসন কিংবা হুমকি কঠোরভাবে মুখোমুখি দমন করবে ইরান।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মৌসাভি আরও বলেন, ‘তারা (ট্রাম্প প্রশাসন) যেকোনো সিদ্ধান্ত নিক না কেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে কোনোভাবেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে আমরা তা বরদাস্ত করবো না। আমরা তাদের যেকোনো হামলা কঠোরভাবে দমন করবো।

গত বৃহস্পতিবার থেকে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা চরম রুপ ধারণ করেছে। সেদিন ইরান ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে তাদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্লোবাল হক সার্ভেইলেন্স’ গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ড্রোন ভূপাতিত করার পর প্রতিশোধ নিতে তিনি ইরানে সামরিক হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হবে এমন আশঙ্কায় হামলার ঠিক দশ মিনিট আগে তা বাতিল করেন। তবে ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ইরানের সামরিক বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান বলেছেন, তারা গুপ্তচর ড্রোনের সঙ্গে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি সামরিক বিমানও ভূপাতিত করতে পারতো। যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিমানটিতে দেশটির নৌবাহিনীর ৩৫ জন সদস্য ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করতে তারা শুধু মার্কিন গুপ্তচর ড্রোনটিকেই ভূপাতিত করেছে।

গত বৃহস্পতিবার ইরান যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত করার পর ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে চলা উত্তেজনা যুদ্ধাবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ড্রোন ভূপাতিত করার জবাবে ইরানে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে অবশ্য তিনি তার মত পাল্টান।

ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। যার কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তেই থাকে। এ ছাড়া গত দুই মাসে দুবার মধ্যপ্রাচ্যে তেলের ট্যাংকারে হামলায় ইরান জড়িত বলে ওয়াশিংটনের দাবি এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ এখন চরমে।

এসএ/জেআইএম

আরও পড়ুন