যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনার পারদ আকাশপথে
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা এবার আকাশপথেও শুরু হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। মার্কিন বিমান সংস্থাগুলোকে ইরানের জলসীমার ওপর দিয়ে তাদের আকাশসীমায় বিমান চলাচল না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্পাই ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউ জার্সি থেকে মুম্বাইগামী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বাতিলের কয়েক ঘণ্টার মাথায় নতুন এই নির্দেশনা জারি করা হয়। নিউ জার্সি থেকে মুম্বাইগামী বিমানের ফ্লাইটগুলো ইরানের আকাশসীমা ব্যবহার করে থাকে।
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কুহমোবারাক জেলার কাছে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশের সাথে সাথেই একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এতে নিরাপত্তার শঙ্কায় ইরানের আকাশপথ পরিহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মনুষ্যবিহীন আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক ড্রোন ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় অনেক বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে। এটি অনেক বড় এলাকায় যে কোন আবহাওয়াতেই সেখানকার স্পষ্ট ছবি ধারণ করতে পারে। সে কারণেই গুপ্তচরের কাজে ওই ড্রোনটিকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। তবে এটি ইরানে প্রবেশের আগেই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে তা ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে।
ইরানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী যে কোনো শত্রু বিমান বা ড্রোন গুলি করে নামানোর যে নির্দেশ রয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, আকাশসীমা হচ্ছে ইরানের রেড লাইন। কেউ এই রেড লাইন অতিক্রম করলে এর কঠিন জবাব দেয়া হবে। ইরান এর আগেও একই কাজ করেছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইরানের আকাশপথ হয়ে ভারতগামী তাদের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কতদিন পর্যন্ত জারি থাকবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এক মার্কিন মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে কেউ মুম্বাই থেকে নিউইয়র্কে আসতে চাইলে তাকে অবশ্যই বিকল্প ফ্লাইটের বুকিং দিতে হবে।
টিটিএন/এমএস