সৌদির প্রথম নারী পাইলট ইয়াসমিন
গাড়ি চালানোর পর এবার বিমান চালালেন সৌদি নারী। প্রথমবারের মতো পাইলট হিসেবে সৌদির একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন ২৯ বছর বয়সী সৌদি নারী ইয়াসমিন আল মাইমানি।
গত ৯ জুন নেসমা এয়ারলাইন্সের এটিআর৭২ ফ্লাইটে পাইলট হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ওই নারী। খুব ভালোভাবেই নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দ্য ন্যাশনালকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইয়াসমিন বলেন, আমি কখনও ভাবিনি যে সৌদির প্রথম নারী হিসেবে আমি বিমান চালাব। এভাবে নিজের দেশকে উপস্থাপন করার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।
পাইলট হিসেবে জর্ডান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ইয়াসমিন। ২০১৩ সালেই পাইলট হিসেবে লাইসেন্স অর্জন করেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই নিজের অবস্থান তৈরির জন্য লড়াই করে যাচ্ছিলেন তিনি। কারণ সৌদিতে নারীদের গাড়ি চালানোরই কোন অনুমতি ছিল না। সেখানে বিমান চালানোতো অনেক দূরের কথা।
তবে গত বছরের জুনে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এবার পুরুষদের পাশাপাশি পাইলট হিসেবেও কাজ করার সুযোগ পেলেন নারীরা। আর সেই ধারাবাহিকতা তৈরি করেছেন ইয়াসমিন আল মাইমানি।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইয়াসমিনকে ট্রেইনি পাইলট হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেয় নেসমা এয়ারলাইন্স। চার মাস পরে তাকে বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়।
ইয়াসমিন বলেন, আমাকে এই সুযোগ দেয়ায় আমার কোম্পানি এবং সৌদি রাজতন্ত্রকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ভিশন ২০৩০ পূরণের লক্ষ্যে নারীদের যে সব সুযোগ, সুবিধা দেয়া হচ্ছে সেটাও বেশ প্রশংসনীয়।
উল্লেখ্য, ভিশন ২০৩০ নিয়ে কাজ করছে সৌদি। রক্ষণশীল সৌদিতে ভিশন ২০৩০য়ের আওতায় দেশটিতে বড় ধরনের বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
এই প্রকল্পের আওতায় সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের জন্য বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের বেশিরভাগ কোম্পানিই এখন নারীদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে এবং বিমান পরিবহন সংস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন নারীরা।
টিটিএন/পিআর