৮ বছরের শিশু আসিফাকে ধর্ষণে পুলিশসহ অভিযুক্ত ৬
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় আলোচিত ৮ বছরের কিশোরী আসিফাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করেছে দেশটির একটি আদালত। সোমবার পাঞ্জাবের পাঠানকোট আদালত কাঠুয়া ধর্ষণকাণ্ডে ওই ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং একজনকে খালাস দেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে দেশটির দুই সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশের এক কনস্টেবলও রয়েছেন।
কাঠুয়া ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্তরা হলেন, কাঠুয়ার ওই গ্রামের প্রধান সানজি রাম, স্পেশাল পুলিশের দুই কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দ্র ভার্মা, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ, আনন্দ দত্ত ও পারবেশ কুমার। তবে এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছে সানজি রামের ছেলে বিশাল।
গত বছরের জানুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় মুসলিম যাযাবর বাখেরওয়াল সম্প্রদায়ের শিশু আসিফাকে অপহরণ করে কাশ্মিরের সাত দুর্বৃত্ত। এদের মধ্যে একজন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ক্ষুদে এক যুবক তাকে কাঠুয়ার একটি মন্দিরে আটকে রেখে চেতনানাশক খাইয়ে ছয়দিন গণধর্ষণ করে। ভয়াবহ এ কাজে মন্দিরের দুই নিরাপত্তা রক্ষীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও উঠে।
এ ঘটনা থেকে অপরাধীদের বাঁচাতে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ঘুষ নেন। জম্মু-কাশ্মির সরকার আসিফা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচারকাজ পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের দু’জন আইনজীবী নিয়োগ দেয়; যারা শিখ সম্প্রদায়ের। কাঠুয়ায় মন্দিরে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৮ বছরের শিশু আসিফার বিচারের দাবিতে সেই সময় উত্তাল হয়ে উঠে কাশ্মির-সহ আরো বেশ কিছু রাজ্য। অভিযুক্তরা সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের।
শিশুটির মরদহে গত বছরের ১৭ জানুয়ারিতে উদ্ধার করা হয় এক অপরাধীকে গ্রেফতারের পর। পরে অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেফতার করা হলে তাদের মুক্তির দাবিতে হিন্দুত্ববাদীদের সংগঠন ‘হিন্দু একতা মঞ্চ’ প্রতিবাদ শুরু করে। অভিযুক্ত ধর্ষকদের মুক্তির দাবিতে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির দুই মন্ত্রীও রাজপথের বিক্ষোভে অংশ নেন।
শিশু আসিফার পরিবারের আইনজীবী দীপিকা এস রাজাওয়াত এ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় নিজের প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
সূত্র : এনডিটিভি, বিবিসি।
এসআইএস/পিআর