ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সৌদি যুবরাজ সেজে ৩০ বছর ধরে প্রতারণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ০৩ জুন ২০১৯

সৌদিতে এখনো রাজতন্ত্র বিদ্যমান। রাজপরিবারের সদস্য হওয়া মানে বিশেষ সুবিধার দুয়ার উন্মোচন হয়ে যাওয়া। তাইতো এক ব্যক্তি নিজেকে সৌদি যুবরাজ হিসেবে পরিচয় দিতেন। সেই পরিচয় কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করেছেনে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে। তাও এক-দুই বছর নয় গত ত্রিশ বছর ধরে মানুষকে ঠকিয়েছেন তিনি।

সৌদি রাজপুত্র হিসেবে নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করতে সবকিছুই করেছেন। তার সঙ্গে ছিল সৌদি রাজপরিবারের কূটনৈতিক পরিচয়পত্র, একদল দেহরক্ষী, জমকালো ফেরারি গাড়ি, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ এবং মায়ামির ফিশার আইল্যান্ডের বিলাসবহুল কন্ডোমিনিয়াম অ্যাপার্টমেন্টের ঠিকানা।

তিনি নিজের নাম দিয়েছিলেন সৌদি প্রিন্স খালিদ বিন আল-সৌদ। মানুষ এই ‘প্রতারক সৌদি যুবরাজকে’ রয়্যাল প্রটোকলও দিতে শুরু করেছিল। কিন্তু গত ৩০ বছর এভাবে চললেও অবশেষে প্রমাণ হলো, তার পরিচয়টি আসলে ভুয়া। যুবরাজ সেজে প্রতারণা করে রীতিমতো ৮০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

তার প্রকৃত নাম অ্যান্থনি গিনিয়াক। বয়স ৪৮ বছর। জন্ম কলম্বিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতি তাকে সাত বছর বয়সে দত্তক নেন। বয়স যখন ১৭ তখন তার মনে হলো তিনি সৌদি যুবরাজ সাজবেন। সেই থেকেই শুরু।

২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে আবাসন বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। গত শুক্রবার আদালত তাকে ১৮ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়। সেই রায়ের মাধ্যমে জানা যায় যুবরাজ সেজে তার প্রতারণার কাহিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ২০১৭ সালে একটি হোটেল কিনতে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে পড়েন বিপদে। হোটেলে গিয়ে তিনি বেশ আয়েশ করে শূকরের মাংস খান। তা দেখে হোটেল মালিকের সন্দেহ হয়। সৌদি যুবরাজ হলে শূকরের মাংস খাওয়ার কথা নয় এই সূত্র ধরেই ধরা পড়েন গিনিয়াক নামের ওই ভুয়া সৌদি যুবরাজ।

এসএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন