ওআইসি বৈঠক : সৌদির পথে হাঁটছে না সদস্য দেশগুলো
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে সৌদি সরকারের পথ অনুসরণ করেনি সদস্য দেশগুলো। রিয়াদের দাবি অনুযায়ী কাজ করতে রাজি হয়নি সংস্থার অন্যান্য দেশ। সৌদি আরব চেয়েছিল ইরানের বিরুদ্ধে ওআইসিকে কাজে লাগাতে। কিন্তু সদস্য দেশগুলো বিষয়টি এড়িয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। খবর পার্স ট্যুডে।
শনিবার শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, যেসব দেশ তেল আবিব থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম শহরে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেবে তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। চূড়ান্ত ঘোষণায় সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিন্দাও জানানো হয়।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন সরকার স্বীকৃতি দেয়ায় এর নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি সেযব সমর্থনের কারণে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব দীর্ঘায়িত হতে পারে সে ধরনের চুক্তি বা সমঝোতাও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
সৌদি আরব চেষ্টা করেছিল ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনকে ইরানবিরোধী প্রচারণা হিসেবে কাজে লাগাতে কিন্তু সদস্য দেশগুলো তা করেনি। সৌদির রাজনৈতিক অবস্থানের বাইরে গিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
ইসরােয়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের জন্য কথিত শতাব্দির সেরা চুক্তি নামে যে খসড়া তৈরি করেছে মার্কিন সরকার তা ফাঁস হয়ে গেছে। এ চুক্তির প্রতি অন্ধ সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওই চুক্তি আগামী মাসে বাহরাইনে এক সম্মেলনের মাধ্যমে উন্মোচন করা হবে।
কিন্তু ওআইসির সদস্য দেশগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের এ চুক্তিকেও প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ফিলিস্তিনি জাতির অধিকারের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার জন্য ওআইসি সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
টিটিএন/আরআইপি
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ২ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৩ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৪ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা
- ৫ ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার