কলেজের ভর্তি ফরমে ধর্ম অপশনে ‘মানবধর্ম’, পরে হিন্দু-মুসলিম
যেকোনো ধরনের পরীক্ষার ফরম পূরণ বা চাকরির আবেদনপত্রে ধর্ম অপশনে নিজের ধর্ম সিলেক্ট করাটা প্রায় বাধ্যতামূলক। অপশনগুলোতে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ পৃথিবীর বিখ্যাত ধর্মের নাম দেয়া থাকে। তবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি কলেক কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির প্রক্রিয়ায় ধর্ম চয়েস অপশনে মানবধর্ম রেখেছে। তা-ও সবার প্রথমে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে কলেজগুলোতে শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বছর সম্পূর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়াটিই অনলাইন পদ্ধতিতে হবে। বেথুন কলেজের কর্তৃপক্ষ ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রীদের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে ফরম প্রকাশ করেছে। সেই ফরমে সংশ্লিষ্ট ভর্তিচ্ছুর ধর্মবিশ্বাস সংক্রান্ত একটি কলাম রয়েছে। সেখানে মোট আটটি অপশন রেখেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার প্রথমটি হলো-মানবতা। কোনো ভর্তিচ্ছু যদি নির্দিষ্ট কোনো ধর্মমতে বিশ্বাস না করেন, তাহলে তিনি প্রথম অপশনটি বেছে নিতে পারেন। ওয়েবসাইটে পরবর্তী অপশনগুলো হলো যথাক্রমে-হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং অন্যান্য।
এ প্রসঙ্গে বেথুন কলেজের অধ্যক্ষ মমতা রায়ের বলেন, ভর্তির আবেদন সংক্রান্ত সফওয়্যার তৈরির সময় আইডিয়াটি আমাদের মাথায় আসে। তারপরই চয়েজ অপশনে মানবধর্ম রাখা হয়।’ তিনি বলেন, যারা কোনো ধর্মে বিশ্বাসী নন, তাদের জন্যই এই অপশনটি রাখা হয়েছে।’
এই অধ্যক্ষের ভাষ্য, ‘পৃথিবীর সব ধর্মেই মানবতার কথা বলা আছে। আর এ জন্যই অপশনে মানবধর্ম রাখা হয়েছে।’
প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বেথুন কলেজের কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আধুনিক মানসিকতার পরিচয় দিল। শিক্ষাজগতের একজন হিসেবে আমি ওদের জন্য গর্বিত। মানুষের প্রাথমিক পরিচয় সে মানুষ। মানবতাই তার সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয়। বেথুন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভর্তিচ্ছুদের সেই পরিচয়টিকে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ করে দিলেন।’
এসআর/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ২ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৩ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৪ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা
- ৫ ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার