ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

জার্মানিতেই ইহুদিরা এখন ঝুঁকিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ২৭ মে ২০১৯

জার্মানিতে বসবাসরত ইহুদিদের কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রধান ইওসেফ শ্যুয়েস্টার দেশটির ভেল্ট আম স্যোনটাগ নামের একটি পত্রিকাকে বলেছেন যে, ইউরোপের এই দেশটিতে গত কয়েক বছরে ইহুদিদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে।

গত রোববার পত্রিকাটিতে এ নিয়ে একটি সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। কেন্দ্রীয় ইহুদি পরিষদের প্রধান বলেন, ‘আমি সামগ্রিকভাবে বিষয়টিকে নাটকীয় করতে চাই না, তবে সবকিছু বিবেচনা করলে পরিস্থিতির সত্যিই অবনতি ঘটেছে। গত কিছুদিন ধরে কিছু বড় শহরের ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন যে, ইহুদিদের ইহুদি হিসেবে শনাক্ত করা গেলে তারা বিপদে পড়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়।’

তিনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন বার্লিনের ইহুদিবিদ্বেষ বিষয়ক কমিশনার ফিলিক্স ক্লাইনের এক সতর্ক বার্তা নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক চলছে। তিনি ইহুদি সম্প্রদায়কে জার্মানির কিছু স্থানে প্রকাশ্যে তাদের ধর্মীয় প্রতীক হিসেবে পরিচিত টুপি পরা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

গত শনিবার জার্মানির ফুংক মিডিয়া গ্রুপকে ইহুদিবিদ্বেষ বিষয়ক কমিশনার ফিলিক্স ক্লাইন বলেন, ‘আমি ইহুদিদের জার্মানির সর্বত্র সবসময় কিপ্পাহ পরে থাকার পরামর্শ দিতে পারছি না।’ ক্লাইনের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শ্যুয়েস্টার বলেন, ‘জার্মানির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায় থেকে যদি এই বিষয়টির দিকে মনোযোগ দেয়া হয় তাহলে তাকে স্বাগত জানানো হবে।’

প্রসঙ্গত, জার্মানিতে ইহুদিদের উপর হামলার সংখ্যা ২০১৭ সালে ছিল ১ হাজার ৫০৪টি। কিন্তু ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৪৬টি। অর্থাৎ এমন হামলার সংখ্যা গত এক বছরে দশ শতাংশ বেড়েছে।

গত বছর ইহুদিদের প্রতীক ‘স্টার অব ডেভিড’ পরিহিত এক ব্যক্তিকে বার্লিনে পেটানো হয়েছে। ওই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে ১৯ বছর বয়সী এক সিরিয়ান এবং তার সঙ্গীরা অপর এক ইসরায়েলির উপর হামলা চালায় যা নিয়ে গোটা জার্মানিতেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দুই ঘটনাতেই ভুক্তভোগী ইহুদিরা তাদের ধর্মীয় টুপি পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।

নিজের মন্তব্যের বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ক্লাইন জানিয়েছেন, তিনি জার্মানিতে ইহুদিদের নিরাপত্তা নিয়ে একটি বিতর্ক শুরু করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেশে ইহুদি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে একটি বিতর্ক শুরু করতে চেয়েছি। অবশ্যই জার্মানিতে এমন কোনো স্থান নেই যেখানে ইহুদি বা অন্য কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ একেবারেই যেতে পারবেন না।’

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন