সপ্তম দিনে নেপালের শিক্ষার্থীদের অনশন
দাবি আদায়ে অনশনের মতো শক্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে নেপালের দুটি ছাত্র ইউনিয়ন। ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশন বাতিল (টিইউএসসি) এবং ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে বদলি অনশন (একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একটি গ্রুপ অনশন করবে, পরে তাদের বদলি হয়ে আসবে আরেকটি গ্রুপ) করে আসছেন তারা।
রোববার সপ্তম দিনের মতো অনশন চালিয়েছে তারা। নেপালের রাজনৈদিক দল নয়াশক্তি পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে চলে আসছে এ কর্মসূচি।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোহন বৈদ্য অনশনকারী ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করে টিইউএসসি বাতিলের দাবি জানান। টিইউএসসির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান।
অভিযোগ রয়েছে, গাড়িচালক থেকে শুরু করে উপ-পরিচালকের মতো পদে পর্যন্ত টিইউএসসি নেপালের ক্ষমতাসীন দল নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি) , বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজন ও বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের লোকজনকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত ও কম যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এসবের কারণে সম্প্রতি টিইউএসসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রনেতা রামটেল বলছেন, ক্ষমতাসীনদের দাপটে এসব দুর্নীতির কোনো খোঁজই পায় না দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। এ কারণেই আমাদের প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। একাডেমিক ভিত্তি বাদে এ বিশ্ববিদ্যালয় এখন রাজনৈতিক নিয়োগের ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সূত্র : মাই রিপাবলিকা।
এনএফ/জেআইএম