ফের বিচারের মুখোমুখি জার্মানির ‘শরিয়া পুলিশ’
২০১৪ সালে রাস্তায় ধরে সাধারণ মানুষকে গান শোনা, মদ্যপান ও জুয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছিল জার্মানির স্বঘোষিত ‘শরিয়া পুলিশ’ নামে একটি দল। সে সময় তাদের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ তৈরি করে হলুদ ভেস্ট পরে রাস্তায় টহল দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ কারণে দলটির সাত সদস্যকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। তবে ২০১৬ সালে তাদের নিষ্কৃতি দেয় আদালত। কিন্তু গত বছর দেশটির একটি উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের ওই রায় বাতিল করে নতুন করে বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার (২০ মে) তাদের বিরুদ্ধে আবার বিচার শুরু হয়েছে।
আসামিরা ২০১৪ সালে ‘শরিয়া পুলিশ’ লেখা হলুদ পোশাক পরে ভুর্পাটালের রাস্তায় টহল দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে পথচারীদের মাদক, মদ, জুয়া, পতিতালয়ে যাওয়া, গান শোনা এবং পর্নগ্রাফি থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তারা। এছাড়া একটি ‘শরিয়া নিয়ন্ত্রিত’ অঞ্চলের ঘোষণা দিয়ে লিফলেটও বিতরণ করেছিল তারা। ওই সময় তাদের টহলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনার জন্য ২০১৬ সালে প্রথমবার বিচারের মুখোমুখি হন গ্রুপটির সাত জন। কিন্তু সে সময় ভুপার্টাল জেলা আদালতের বিচারক তাদেরকে ইউনিফর্ম নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের দায়ে শাস্তি দিতে চাননি। কারণ তারা আইন ভঙ্গ করতে চেয়েছিলেন এমন কোনো প্রমাণ বিচারকরা পাননি।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কার্লসরুয়ের কেন্দ্রীয় বিচার আদালত নিম্ন আদালতের সেই রায়ের সমালোচনা করে ওই সাত জনকে পুনরায় বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশ দেয়। তাদের বিরুদ্ধে ইউনিফর্ম সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য কিংবা দুষ্কর্মে সহায়তার অভিযোগ করা হয়েছে, যার শাস্তি হতে পারে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। আদালতের নথিপত্রে তাদের ‘সালাফিস্ট সিনের’ সদস্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে তারা জার্মানির গণতান্ত্রিক আইনি ব্যবস্থাকে বদলে সেখানে ‘শরিয়া আইন’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
দেশটির আইনজীবী এবং ইসলাম বিশেষজ্ঞ মাথিয়াস রোহের ধারণা, পুনর্বিচারের নির্দেশনা দিয়ে আদালত সঠিক কাজটিই করেছে। কারণ ‘শরিয়া পুলিশের’ দলটির কারণে মুসলিম এবং অমুসলিমরা আতঙ্কিত হতে পারতো।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
এমএসএইচ/জেআইএম