নিজেই বিষ দিতেন রোগীকে, তারপর সারিয়ে তুলতেন
৫০ রোগীকে প্রথমে বিষ দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রাণ রক্ষা করে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার অভিযোগে এক চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
গুরুতর অভিযোগটি উঠেছে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ফ্রেডেরিক পেশির বিরুদ্ধে। ৪২টি ক্ষেত্রে রোগীদের অস্বাভাবিক জটিল শারীরিক পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগ, গত ১৭ বছর ধরে পূর্ব ফ্রান্সের বিজাস অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কাজ করার সময় তার অধীনে থাকা রোগীদের মধ্যে অস্বাভাবিক বিষক্রিয়া দেখা দেয়। তার আগেই অবশ্য ২০১৭ সালে তার অধীনে থাকা সাত রোগীর অসুস্থতার জন্য অভিযুক্ত হন পেশি।
সরকারি আইনজীবীদের দাবি, সহকর্মী চিকিৎসকরা সাধারণ অস্ত্রোপচার হওয়া রোগীদের জন্য যে অ্যানেস্থেসিয়া পাউচ ব্যবহার করেন, তাতে বিষ মেশান পেশি। ফলে ওই রোগীদের হার্ট অ্যাটক হয় এবং সেই সুযোগে শেষ মুহূর্তে তাদের জীবন রক্ষা করে সতীর্থ চিকিৎসক এবং রোগীর স্বজনদের চোখে নিজেকে 'ধন্বন্তরী' প্রমাণ করেন তিনি।
প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পর ২০১৭ সালের মে মাসে পেশিকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। ২০০৮-১৭ সালের মধ্যে মোট সাত রোগীকে বিষ প্রয়োগ করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই সাত রোগীর দেহে অতিরিক্ত পটাশিয়ামের উপস্থিতি ছিল। তাকে এ বিষয়ে জেরা করে পুলিশ।
এরপর আরও ৪৩ রোগীর ক্ষেত্রেও একই কাণ্ড ঘটে। তাদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার নতুন এই তথ্যের ভিত্তিতে পেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় পুলিশ।
তবে পেশির দাবি, কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লেই তাকে হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয়। অসাধারণ দক্ষতার কারণেই তার উপর ভরসা রাখেন অন্য চিকিৎসকরা। একই কারণে হিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এএইচ/এমএস