ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পৃথিবীর গভীরতম স্থানেও পৌঁছে গেল প্লাস্টিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ১৫ মে ২০১৯

প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেঞ্চ, যাকে পৃথিবীর গভীরতম স্থান বলা হয়। সমুদ্রের উপরিতল থেকে এর আনুমানিক গভীরতা ৩৬ হাজার ৭০ ফুট। এখন পর্যন্ত কেউই এই গভীরতম স্থানের মাটি স্পর্শ করতে পারেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অভিযাত্রী ভিক্টর ভেসকোভো নিজের সাবমেরিন নিয়ে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের ৩৫ হাজার ৮৫৩ ফুট পর্যন্ত পৌঁছান। এ পর্যন্ত কোনো মানুষই মারিয়ানা ট্রেঞ্চের এতো গভীরে পৌঁছাতে পারেনি।

তবে মানুষের আগে এর আগে এ জায়গায় আরও একটা জিনিস পৌঁছে গেছে, আর তা হলো প্লাস্টিক। ভিক্টর ভেসকোভো ট্রেঞ্চের গভীরে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন, সেখানে অসংখ্য প্লাস্টিক পড়ে আছে। সম্পূর্ণ অজানা এ জায়গায় শহরের রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকা প্লাস্টিক দেখে রীতিমত হতাশ তিনি।

এমন বিচিত্র অভিজ্ঞতার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভিক্টর ভেসকভো বলেছেন, মানুষের দূষণ সমুদ্রের গভীরতম বিন্দু স্পর্শ করেছে দেখাটা খুবই হতাশার। তার এই পর্যবেক্ষণ সরকার সমুদ্র দূষণ আইনকে আরও কঠোর করবে বলে ভেসকোভোর আশা।

প্রশ্ন হলো, যেখানে ভিক্টর ভেসকোভো মারিয়ানা ট্রেঞ্চের অতো গভীরে পৌঁছানো প্রথম মানুষ, সেখানে এমন বস্তু কীভাবে পৌঁছালো?

তাহলে, প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, এমন অগম্য স্থানও তা থেকে রক্ষা পেল না? মানুষের তৈরি দূষণের মাত্রা এতোটা গভীরে পৌঁছানোয় বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত।

জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১০ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রের পানিতে জমা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ বর্জ্যের একটি বড় অংশ মাইক্রো প্লাস্টিক, যা সমুদ্রের গভীরে বসবাসরত প্রাণী যেমন তিমি ইত্যাদি গিলে ফেলছে। অসংখ্য মৃত তিমির পাকস্থলীতে মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া গেছে।

ভেসকোভো মনে করেন, সমুদ্র যে জঞ্জাল ফেলার বিশাল একটি জায়গা নয়, সেটা মানুষের বোঝার সময় হয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে চলা তার এই অভিযানে তিনি জৈব ও অজৈব বস্তুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি অভিযানে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের ৩৫ হাজার ৮০০ ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ২০১২ সালে কানাডার এক চলচ্চিত্র নির্মাতা তার নিজস্ব সাবমেরিন নিয়ে পৌঁছান ৩৫ হাজার ৭৮৭ ফুট গভীরে। ভিক্টর ভেসকোভো প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মারিয়ানা ট্রেঞ্চের এতো গভীরে পৌঁছাতে পারলেন।

এমএসএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন