উত্তর কোরিয়ার জাহাজ আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার একটি কার্গো জাহাজ আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিচার বিভাগ বলছে, ওই জাহাজটিতে করে কয়লা পরিবহন করা হতো। কয়লা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য। কিন্তু দেশটির কয়লা রপ্তানির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে কারণেই ওই জাহাজটি আটক করা হয়েছে।
এই প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় উত্তর কোরিয়ার কোন জাহাজ আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দু'দেশের মধ্যে চলমান তিক্ত সম্পর্কের মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বৈঠক কোন চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের এবং উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোন চুক্তিই হয়নি।
এদিকে গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্বল্প মাত্রার ওই মিসাইল ৪২০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল টেস্টের সঙ্গে এই জাহাজ আটকের ঘটনার কোন যোগসূত্র নেই। ওয়াইজ অনেস্ট নামের ওই জাহাজটিকে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় আটক করা হয়। সে বছরের জুলাই মাসে সেটি জব্দ করার আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর ইন্দোনেশিয়া জাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়। এখন সেটি যুক্তরাষ্ট্রের পথে রয়েছে। মার্কিন কৌসুলি জেফরি এস বের্ম্যান বলছেন, আমাদের অফিস জানতে পেরেছে যে, জাহাজের নিবন্ধন গোপন করে উত্তর কোরিয়া উন্নত মানের কয়লা বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে।
তারা এর মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞাই লঙ্ঘন করেনি বরং এই জাহাজের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ায় ভারী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বার বার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
এই জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মার্কিন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ডলারে দেয়া হতো বলে জানানো হয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে।
টিটিএন/এমএস