ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ০১ মে ২০১৯

জামিন নিয়ে পালিয়ে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ার দায়ে উইলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত। বুধবার লন্ডনের একটি আদালত তাকে এই সাজা দিয়েছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

গত মাসে দূতাবাস থেকে লন্ডন পুলিশ তাকে টেনে-হেঁচড়ে বের করে আদালতের মুখোমুখি করার আগে সাত বছর সেখানেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসা অ্যাসাঞ্জ। লন্ডনের আদালতের বিচারক দেবোরাহ টেইলর অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আইনের সুযোগের লঙ্ঘন করেছে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। আইন লঙ্ঘন করে তিনি ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার অবাধ্যতা দেখিয়েছেন।

ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় ২০১২ সালের জুনে জামিন নিয়ে পালিয়ে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি। আইন লঙ্ঘন করে দূতাবাসে আশ্রিত উইলিকসের এই প্রতিষ্ঠাতাকে গত মাসে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।

বিচারক টেইলর অ্যাসাঞ্জের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি সেখানে প্রায় সাত বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। আইনের সুযোগ নিয়ে আপনার আগের অবস্থান নষ্ট করেছেন। এই দেশের আইনের শাসনের প্রতি আপনি আন্তর্জাতিকভাবে অবাধ্যতা দেখিয়েছেন।

আদালতে বিচারক যখন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ৫০ সপ্তাহের সাজা ঘোষণা করেন, তখন তার সমর্থকরা বিচারককে লজ্জা, লজ্জা বলে স্লোগান দেন।

২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপনীয় তারবার্তা ও নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন উইকিলিকসের এই প্রতিষ্ঠাতা। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গোপন তারবার্তায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন কূটনীতিকদের নানা তথ্য ফাঁস করে দেন।

পরে একই বছরে সুইডেনের দুই নারী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তবে অ্যাসাঞ্জ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আইনি লড়াই চালিয়ে যান। প্রথমের দিকে তদন্ত শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা থমকে যায়।

পরে ২০১২ সালের আগস্টে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় পান তিনি। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর গত ১০ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ।

এসআইএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন