শ্রীলঙ্কায় ‘স্লিপার সেলে’ সক্রিয় জঙ্গিরা
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, দেশে আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে। বেশকিছু ‘স্লিপার সেল’ সক্রিয়, যারা যে কোনো মুহূর্তে আবার ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষমতা রাখে।
শুক্রবার একটি বিদেশি চ্যানেলকে এসব কথা জানান রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও পুলিশ বাহিনীকে খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। ইন্টারপোলসহ তাদের পাশে আছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, এফবিআই, ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের পুলিশ। হামলার ঘটনার তদন্ত সংক্রান্ত কোনো তথ্য যাতে বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পুলিশের উদ্বেগ, গির্জায় আবারও এক-দু’জন ঢুকে বড় হামলা ঘটাতে পারে।
বিক্রমাসিংহে জানান, বিস্ফোরণের চক্রান্তে উচ্চবিত্ত পরিবারের বিদেশে পড়াশোনা করা উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের নাম জড়াচ্ছে, যা চমকে দেয়ার মতো খবর। হামলার আগে এদের অনেকের ওপরেই নজর ছিল। কিন্তু তাদের হেফাজতে নেয়ার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পুলিশের হাতে ছিল না বলে তার দাবি।
আরও পড়ুন> বাড়ি ঘরে হামলা করছে লঙ্কানরা, পালাচ্ছে শত শত মুসলিম
হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের তালিকায় রয়েছে চার নারী। সবেচেয়ে বেশি সন্দেহভাজন ধরা হয়েছে কলম্বো থেকে। এদের অধিকাংশই আত্মঘাতী হামলাকারীদের পরিচিত বলে পুলিশের দাবি।
তবে শ্রীলঙ্কা পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এবার এক মশলা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি সন্দেহভাজন দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বাবা। বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে ছেলেদের সাহায্য এবং উৎসাহ দেয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মুহম্মদ ইউসুফ ইব্রাহিম নামে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় তিনটি গির্জা, তিনটি হোটেল এবং আরও দুটি স্থানে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ। তবে গতকাল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৫৩ জন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এমএসএইচ/এমএস