ভোটই দেবেন না দিল্লির সেই নির্ভয়ার বাবা-মা
২০১২ সালের ডিসেম্বর। দিল্লির এক মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে একাট্টা হয়েছিল গোটা দেশ। সারা বিশ্বেও ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল ঘটনাটি। নৃশংস নির্মমতার শিকার হয়ে ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ার পর মারা যাওয়া মেয়েটির নাম দেয়া হয় নির্ভয়া।
এরপর সাত বছর কেটেছে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে নির্ভয়া ধর্ষণ-খুনে অপরাধী ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল আদালত। তবে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিত রয়েছে ওই আদেশ।
তাই ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না নির্ভয়ার বাবা-মা। তাদের অভিযোগ, এখনও শহরের বহু রাস্তাতেই আলো নেই। রাতের রাস্তা সুরক্ষিত নয় শিশু ও নারীদের জন্য। নারী-শিশুদের প্রতি ‘নারকীয় অত্যাচার’ রুখতে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও নেয়নি সরকার।
নির্ভয়ার মা বলেন, ‘সব সরকারই নিরাশ করেছে। কোনও দলকেই সমর্থন করতে ইচ্ছা করে না। ভোট দেয়ারও ইচ্ছা নেই।’
হতাশার সুর নির্ভয়ার বাবার গলাতেও। বললেন, ‘কিচ্ছু বদলায়নি। ভোট দিতে ইচ্ছা করছে না। রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সম্মানের কথা বলে যায়। কিন্তু কেউ প্রতিশ্রুতি রাখে না। দিনের শেষে আমাদের যন্ত্রণা, অসহয়তাটুকুই সার।’
নির্ভয়ার বাবা মনে করেন, ভোট এলে নেতামন্ত্রীদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দেয়ার সুযোগ ছাড়া আর কিছুই নয়। নিজেদের প্রয়োজনে মানুষকে ভুল পথে পরিচালনা করাই তাদের লক্ষ্য। ২০১৮ সালের বাজেটে ‘নির্ভয়া ফান্ড’ নামে একটি তহবিল ঘোষণা করেছিল সরকার। সেটি ঠিক কাজে লাগানো পর্যন্ত হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন মেয়ে-হারা বাবা।
এনএফ/এমএস