প্রত্যেক ১০ জন নারীর সাতজন পরকীয়ায় লিপ্ত
ভারতে প্রত্যেক ১০ জন নারীর মধ্যে সাতজন তাদের স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করছেন। ঘরের কাজে সহায়তা না করায় তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। এমনকি এই নারীরা স্বামীকে ঠকাচ্ছেন তাদের বৈবাহিক জীবন একঘেয়েমি হয়ে পড়ায় এবং অবিশ্বাস জন্ম নেয়ার কারণে।
বিবাহবহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ গ্লিডেনের পরিচালিত এক জরিপে ভারতের নারীদের পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘নারীরা কেন ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ছেন’ শিরোনামে জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে। পরকীয়ার অন্যতম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এই অ্যাপটির ভারতে ব্যবহারকারী অন্তত ৫ লাখ।
গ্লিডেনের জরিপ বলছে, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাই, কলকাতার মতো শহরের নারীরা সবচেয়ে বেশি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে অসুখী, অবজ্ঞা, গৃহস্থলীর কাজে স্বামীর সহযোগিতা না করার কারণেই নারীরা পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার পেছনে প্রধান যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন : হামলাকারীরা স্বচ্ছল পরিবারের, পড়াশোনা করেছেন অস্ট্রেলিয়া-ব্রিটেনে
গ্লিডেনের মার্কেটিং স্পেশালিস্ট সোলেন পাইলেট বলেন, ‘জরিপে অংশ নেয়া প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে চারজন বলেছেন, অপরিচিতদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার পর স্বামীর সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, একটি মৃত প্রায় বৈবাহিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়ক হতে পারে অবিশ্বাস।’
ভারতে গ্লিডেনের পাঁচ লাখ ব্যবহারকারীর ২০ শতাংশ পুরুষ ও ১৩ শতাংশ নারী তাদের স্ত্রী এবং স্বামীকে ঠকিয়ে পরকীয়া করছেন বলে স্বীকার করেছেন।
সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন; এমন নারীদের টার্গেট করে ২০০৯ সালে গ্লিডেন অ্যাপের যাত্রা শুরু হয় ফ্রান্সে। ৮ বছর পর ২০১৭ সালে ভারতে এই অ্যাপটি যাত্রা শুরু করলেও এখন ফরাসী এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মোট ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশই ভারতীয় বিবাহিত নারী; যাদের প্রত্যেকের বয়স ৩৪ থেকে ৪৯ বছর।
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় বোরকা নিষিদ্ধের দাবি
স্বামীকে ঠকিয়ে পরকীয়া করছেন; জরিপে অংশ নেয়া এমন ৭৭ শতাংশ ভারতীয় নারী বলেছেন, তাদের বিবাহিত জীবন একঘেয়েমি হয়ে পড়েছে; যে কারণে তারা বিয়ের বাইরে একজন সঙ্গীকে খুঁজে নিচ্ছেন। বিবাহিত জীবনের বাইরে একজন সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার মধ্যে তারা ভিন্ন ধরনের উত্তেজনা অনুভব করছেন।
গ্লিডেনের জরিপ বলছে, ভারতের প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী মনে করেন, তাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকা উচিত।
সূত্র : আইএএনএস।
এসআইএস/এমএস