শ্রীলঙ্কায় বোরকা নিষিদ্ধের দাবি
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট বিতর্কে দেশটির একজন এমপি বোরকা, হিজাব ও মুখ ঢেকে রাখা যায় এমন যেকোনো ধর্মীয় রীতি মেনে তৈরি পোশাক নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব তুলেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সেই এমপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কান সেই এমপি সিএনএনকে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন মুখ ঢেখে রাখার ব্যাপারটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কারণ। আর এর কারণে কাউকে চিহ্নিত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মুখ ঢেকে রাখার ব্যাপারটা ঐতিহ্যগত নয়। তবে পার্লামেন্টে তোলা ওই এমপির প্রস্তাবটি নিয়ে কবে আলোচনা হবে তার কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন>> শ্রীলঙ্কায় ৯ আত্মঘাতী জঙ্গির একজন ছিল নারী
সেই এমপি তার প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, `মানুষ তার ব্যক্তিগত পছন্দ কিংবা অপছন্দের জায়গা থেকেই হয়তো মুখ ঢেকে রাখার কাজটা করেন। আর এটা নিয়ে সবার নিজস্ব একটা ব্যাখ্যা আছে কিন্তু এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।‘
তার ভাষ্যমতে, ‘এটা নিয়ে পার্লামেন্টে আমাদের আলোচনা করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে আমরা বোরকা ও হিজাবসহ এ ধরনের যেসব পোশাক আছে তা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো।’
আরও পড়ুন>> এবার শ্রীলঙ্কায় সিনেমা হলে বিস্ফোরণ
শ্রীরঙ্কান ওই এমপি জানালেন, ‘জনসম্মুখে বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধ করা হবে। এটাই মূল জায়গা যেটা নিয়ে আমরা পার্লামেন্টে আলোচনা করবো। কিছু রেস্টুরেন্ট ও দোকান ইতোমধ্যেই তাদের গ্রাহকদের বোরকা এবং হিজাব ছাড়া আসার নির্দেশনা দিয়েছে।’
কিছু স্থানে এমনটা করা ঠিক হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা মুসলিম কিংবা অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতিকে বাধাগ্রস্ত করবে। এখানে একটা নিয়ম থাকা উচিত যেটা সব স্থানে মেনে চলা হবে।
আরও পড়ুন>> মরদেহ চিনতে জুতাই সম্বল
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের যেকোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আমি সম্মান করি কিন্তু আমি যে দৃষ্টিকোণ থেকে কথাটা বলছি সেটা আলাদা। আমরা প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের কবলে পড়েছি আর মুখ ঢাকার বিষয়টা আমাদের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করেছে।
রোববার ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৫৯ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শ্রীলঙ্কার গীর্জা ও হোটেলে এই সিরিজ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গত রোববার সকালের ভয়াবহ ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ।
এসএ/এমকেএইচ