ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

হাসপাতালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

পাকিস্তানে সিন্ধ প্রদেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দাঁতের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সময় হাসপাতালে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।

গত ১৮ এপ্রিল দেশটির কোরাঙ্গি শহরের সিন্ধ সরকারি হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল, অ্যান্টিবায়োটিকের মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার কারণে রোগী মারা গেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে দেখা যায়, ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মাকে জানায়, চিকিৎসাধীন ওই তরুণীর অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটছে। যদিও শুধুমাত্র দাঁতের ব্যথার চিকিৎসার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় জিন্নাহ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে সিন্ধ সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তরুণীর মাকে জানায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে মেয়েকে না পেয়ে তিনি আবারো ওই হাসপাতালে ফেরত আসেন। সিন্ধ হাসপাতালের প্রত্যেক ওয়ার্ডে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন তিনি।

পরবর্তীতে হন্যে হয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকা বাবা-মা হাসপাতালের পেছনের দিকের একটি কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে স্ট্রেচারে মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পান তারা। পোর্স্ট মর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার আলামত মিলেছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বাবা-মাকে জানায়, অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশনের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ায় মারা গেছেন ওই তরুণী।

পরিবার বলছে, সে ছিল আলোকিত, স্বাধীনচেতা ও তীব্র প্রতিশ্রুতিশীল এক তরুণী। পাকিস্তান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান আনিস হারুন বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে হাসপাতালে আসলে কী ঘটেছে তা বের করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।

‘আমরা সরকারি তদন্তের দাবি করছি। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও অন্যান্য; যারা মানুষের জীবন কেড়ে নেয়ার জন্য নয় বরং বাঁচানোর জন্য শপথ নিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পাকিস্তান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’

এ ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত সন্দেহে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। চতুর্থ এক সন্দেহভাজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

সূত্র : ডেইলি মেইল।

এসআইএস/জেআইএম

আরও পড়ুন