হামলাকারীরা সবাই দেশের : শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী
দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় রোববার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালে গির্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৭ জনে। তবে হামলায় জড়িত সন্দেহে আটক আটজনের সবাই শ্রীলঙ্কান নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলছেন, তার দেশে যে বোমা হামলায় ২০৭ জন নিহত হয়েছেন, তার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আট ব্যক্তিকে আটক করেছে।
তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আটক আট ব্যক্তির পরিচয় থেকে জানা গেছে তারা সবাই শ্রীলঙ্কান নাগরিক।’ তবে তাদের সঙ্গে বিদেশের কারও যোগাযোগ আছে কি-না এখন সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন>> বিমানবন্দর উড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের
রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে শ্রীলঙ্কার ছয়টি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে নিহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। তাছাড়া এই ছয় হামলার তিন থেকে চার ঘণ্টা পর আরও দুটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটে।
দুই শতাধিক মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রায় ৫০০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন ৩৫ জন। তার মধ্যে বাংলাদেশের একজন রয়েছেন।
দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। সেনবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার এই নারকীয় হত্যাযজজ্ঞের নিন্দা করে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ব নেতারা। তারা শ্রীলঙ্কাকে যেকোনো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ইস্টার সানডের সকালে তিনটি গির্জা ও তিনটি অভিজাত হোটেলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুপুরের পর কলম্বোর আরও দুটি স্থানে বোমা হামলা হয়েছে। যার চারটি রাজধানী কলম্বোতে। বাকি দুটির একটি রাজধানীর অদূরে অন্যটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে বাত্তিকোলায়।
এসএ/এমকেএইচ