ওয়ালমার্টের স্টোরে মানুষের বদলে রোবট
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ক্রমেই এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মানুষের বদলে জায়গা করে নিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট। এখন অনেক প্রতিষ্ঠানই মানুষের বদলে রোবট দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ওয়ালমার্ট জানিয়েছে, তাদের স্টোরগুলোতেও এখন থেকে মানুষের বদলে থাকবে রোবট। প্রাত্যহিক সব কাজ মানুষের বদলে রোবটই পরিচালনা করবে। খুব গর্বের সঙ্গেই এই ঘোষণা দিয়েছে ওয়ালমার্ট।
বিভিন্ন সেলফের তালিকা এবং স্টোরে যেসব বক্স আসবে সেগুলো স্ক্যানিং করবে এসব রোবট। পুনরাবৃত্তি, অনুমাননির্ভর এবং ম্যানুয়াল বিভিন্ন কাজে মানুষের জায়গা দখল করে নেবে এসব রোবট। এর ফলে এসব কাজে আগে যে পরিমান কর্মী লাগত তা কমে আসবে।
খরচ কমাতেই রোবট দিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে ওয়ালমার্ট। বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রমিকদের পেছনে অনেক অর্থ খরচ হয়। কিন্তু মানুষের বদলে রোবট দিয়ে কাজ করালে খরচ অনেক কমে যাবে। একবার একটা রোবট কিনে নিলে সেটা দীর্ঘমেয়াদী কাজে ব্যবহৃত হবে যা মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
এছাড়াও রোবটের কোন সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন নেই, তাদের কোন ছুটির দরকার হয় না এমনকি রোবট কখনও অসুস্থও হয় না। তারা কখনও ভালো সুযোগ বা চাকরির কথা বলে চাকরি ছাড়বে না, কোন অভিযোগ করবে না এমনকি খাবারের জন্যও কোন বিরতি নেবে না। অর্থাৎ একটি রোবট দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই সমানতালে কাজ করতে সক্ষম যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
সম্প্রতি ম্যাককিনসেই অ্যান্ড কোং নামের একটি বৃহত্তম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রোবট এবং স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির প্রভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০ কোটি শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং চাকরি হারাতে পারে। অপরদিকে, এসব প্রযুক্তির প্রভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ চাকরি হারাতে পারে।
গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত লোকদের জন্য এটা সবচেয়ে চিন্তার বিষয়। প্রযুক্তির কারণে দক্ষ শ্রমিকদেরও চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হবে। আইনজীবী, ব্যাংকার, হিসাবরক্ষক, চিকিৎসক, ট্রাক এবং ক্যাব চালকসহ বিভিন্ন পেশায় প্রচুর পরিমানে রোবট দিয়ে কাজ চালানো হবে।
টিটিএন/এমকেএইচ