ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মোদির বিমানে কালো ট্রাঙ্ক ঘিরে রহস্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমানে ‘রহস্যজনক ট্রাঙ্ক’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। সেই ট্রাঙ্কের ভেতর কী ছিল-তা জানতে তদন্তের দাবি জানিয়েছে দলটি। এ ঘটনায় কর্নাটক কংগ্রেসের তরফে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র আনন্দ শর্মাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকের চিত্রদুর্গায় গিয়েছিলেন। তখন তার বিমানে এই ট্রাঙ্কটি ছিল।

শর্মা বলেন, ‘আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের পাশে আরও তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অবতরণের পর বিমান থেকে একটি কালো রঙয়ের ট্রাঙ্ক বের করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সেটি একটি গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। তবে ওই গাড়িটি প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের অংশই ছিল না।’

দেশটির সাবেক কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা আরও বলেন, ‘ওই ট্রাঙ্কে কী ছিল? যদি টাকাই না থেকে থাকে তাহলে তো তদন্ত করা যেতেই পারে।’ তিনি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি নিয়ে মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) সঙ্গে ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির আলোচনা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানান।

তবে কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করেছে বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এ সবই মিথ্যা কথা। কংগ্রেস আর দুর্নীতি সমার্থক। তারা আগে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির জবাব দিক।’

প্রসঙ্গত, ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকে নতুন করে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসসহ বিরোধীদের অভিযোগ, কংগ্রেস আমলের খসড়া চুক্তি অগ্রাহ্য করে অনেক বেশি দামে অনেক কম যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। কংগ্রেসের করা চুক্তি মানলে ৭৯ কোটি রুপিতে পাওয়া যেত ১২৬টি রাফাল। সে জায়গায় ৫৯ হাজার কোটি রুপিতে মোদি সরকার কিনছে মাত্র ৩৬টি। আগের চুক্তিতে লাভবান হতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড, নতুন চুক্তিতে লাভ হচ্ছে অনিল আম্বানির বেসরকারি সংস্থার। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাফাল দুর্নীতিকেই’ প্রচারের বড় হাতিয়ার করে তুলেছে কংগ্রেস।

এসআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন