সশস্ত্র মিছিলের ডাক বিজেপির
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও তাদের জোট শরিক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ পশ্চিমবঙ্গে অস্ত্র হাতে ‘রামনবমী’ পালন করার ডাক দিয়েছে। কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় শনিবার থেকেই সশস্ত্র এই মিছিল হবে বলে আগাম জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
কলকাতার দৈনিক আনন্দাবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন রামনবমীর মিছিলে প্রশাসন বাধা দিতে গেলে পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে।
নির্বাচনকালীন ধর্মীয় অনুষঙ্গ ব্যবহার করাই যখন নিষিদ্ধ তখন এমন কর্মসূচি কীভাবে হতে পারে সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছে সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেসসহ অন্য দলগুলোও একই প্রশ্ন তুলছে। তবে বিজেপির অস্ত্র মিছিলের বিরোধিতা করলেও বেশ কিছু স্থানে রামনবমীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুক্রবার বলেছেন, অস্ত্র নিয়েই রামনবমীর মিছিল করার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধ মানবেন না তারা।
আরও পড়ুন>> ৫৪৩ আসনের ১০০ আসনও পাবে না বিজেপি : মমতা
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা ঐতিহ্য। যার যেটা ঐতিহ্য সে সেভাবে করবে। ভোট এসেছে বলে বা কোনও সরকারের জন্য আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক পরম্পরা ছেড়ে দেব এটা হতে পারে না।’
ভোটের সময়ে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর দায়ে বিরোধীরা যে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তা নিয়েও পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কেন বিজেপিকে আটকাতে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে বিরোধীরা। তারা কমিশনে গেলেও আমার ধার্মিক অধিকার আমি পালন করব।’
বিজেপির এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সতর্কতা নিতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকেও। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে রামনবমীর জন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী পাঠাতে সম্মত হয়েছে তারা।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলই ধর্মীয় উৎসবকে রাজনৈতিক মেরুকরণের স্বার্থে ব্যবহার করছে। আমরা রাজ্যের সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আহ্বান করছি, সতর্ক থাকুন। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোনও সুযোগ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেবেন না।’
এসএ/এমকেএইচ