ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

প্রার্থীকে ভোটে জেতালেই কোটি টাকা-বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০১৯

নির্বাচনের সময় সাধারণ জনগণকে যেমন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় তেমনই নেতা-কর্মীদেরও দেওয়া হয় নানা উপহার-উপঢৌকন। নির্বাচন কমিশনের নজরদারি থাকলেও সুযোগ বুঝে নিজেদের কাজ করে যান নেতা-কর্মীরা।

আর দলের নেতা-কর্মীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দেয়ার তালিকায় উপরের সারিতে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে এখন রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় উপহারের হাতছানি। কোন নেতা নগদ এক কোটি, কেউ ৫০ লাখ, কেউ বা বিদেশ সফরের মতো লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।

দেশ সেবার সুযোগ পেলে পার্টিকর্মীদের ইনসেনটিভ দেবেন নেতারা। নির্বাচনের সময় ভোটারদের প্রভাবিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকে উপঢৌকনের চল রয়েছে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে। সেই তালিকা বেশ দীর্ঘ। টেলিভিশন সেট থেকে দামি মদ কিংবা শাড়ি দেয়ার চল বেশ পুরনো। এবার এই উপঢৌকনের তালিকা আরও বড় হলো।

দলের যে কর্মীরা প্রার্থীর জয়ের জন্য ভোট নিশ্চিত করতে পারবেন, তারা সোনার আংটি, রেফ্রিজারেটর, মোটরবাইক এমনকী বিদেশ ভ্রমণেরও সুযোগ পেতে পারেন। এমনকী এক কোটি টাকা পর্যন্ত নগদ পুরস্কারের ঘোষণাও রয়েছে তাদের জন্য।

তামিলনাড়ুর আরাক্কোনম কেন্দ্রের ডিএমকে প্রার্থী এস জগৎরক্ষণন কোনও রাখঢাক না করেই দলের নেতা-কর্মীদের জন্য নগদ এক কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। ভেলোর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন ডিএমকের কোষাধ্যক্ষ এস দুরাইমুরুগানের ছেলে কাথির আনন্দক। দুরাইমুরুগান তার ছেলেকে জেতাতে ৫০ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ যে বিধানসভা এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি লিড পাবেন, সেখানকার নেতারা ওই টাকা পাবেন।

কম যান না তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভেলোর কেন্দ্রের এআইএডিএমকে প্রার্থী এ সি সন্মুগম। তার পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে ছয়টি বুলেট বাইক, দেশে এবং বিদেশে থাকা খাওয়ার খরচসহ বেড়ানোর টিকিট।

দুই দলের তরফ থেকেই বলা হয়েছে, পুরস্কার ঘোষণার পর থেকেই দলীয় কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নিজের দলের প্রার্থীকে জেতাতে। কারণ লিড যত বেশি হবে, উপহারের বহরও তত বেশি হবে। আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে প্রার্থীর খরচে ঘুরে আসতে পারবেন বিদেশেও।

তবে শর্ত একটাই, শুধু লিড বেশি হলেই হবে না প্রার্থীকে জেতাতেও হবে। বিষয়টি নজরে এসেছে নির্বাচন কমিশনেরও। এই প্রার্থীদের উপর কড়া নজর রেখেছে কমিশন। ভেলোরের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবারই কাথির কাটপাডি এলাকার বাসভবনে যান কমিশনের আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। বাড়ির পাশাপাশি কাথির মালিকানাধীন একটি স্কুল এবং তার এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে গোয়েন্দারা। কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই অভিযানে মোট ১৯ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

টিটিএন/আরআইপি

আরও পড়ুন