ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার মার্কিন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান
ইরানের ১৬০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ৯/১১ হামলায় নিহতদের পরিবারে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু লুক্সেমবার্গের একটি আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর পার্স ট্যুডে।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ইরানের হাত ছিল বলে রায় দেয়। সেই সঙ্গে ওই হামলায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ বাবদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ৭০০ কোটি ডলার অধিগ্রহণ করারও নির্দেশ দেয় মার্কিন আদালত।
ইরানের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ না থাকায় মার্কিন আদালতের ওই রায় এতদিন কার্যকর করা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি ওয়াশিংটন এ তথ্য জানতে পারে যে, ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে লুক্সেমবার্গের ‘ক্লিয়ারস্ট্রিম’ কোম্পানির কাছে ইরানের ১৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আটকা পড়েছে।
এ অবস্থায় মার্কিন সরকার লুক্সেমবার্গকে ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অনুরোধ করলে দেশটির সরকার এ বিষয়ে কর্তব্য নির্ধারণের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়।
লুক্সেমবার্গের আদালত বুধবার এক রায়ে জানিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সঙ্গে ইরানের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে ২০১২ সালে মার্কিন আদালত ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার যে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠী বা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইরান। লুক্সেমবার্গের একটি কোম্পানির কাছে ইরানের আটকে পড়া ১৬০ কোটি ডলারের সম্পদ ইরানকে ফেরত দেয়া হবে কিনা সে সম্পর্কে দেশটির আদালত আরো পরে রায় দেবে বলে জানানো হয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম