‘১১ বছর বয়সে বাবা আমাকে নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেন’
ক্যাটির বয়স যখন মাত্র ১১ বছর, তখন তার বাবা তাকে একটি যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেন। কিশোরী ক্যাটির তখন বোঝার বয়সও হয়নি আসলে কেন তাকে এখানে বিক্রি করে দিলেন বাবা। সেখানে বছরের পর বছর দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয় তাকে। পল্লীতে মার্কিন এই কিশোরীর কেটে যাওয়া অন্ধকারাচ্ছন্ন এক জীবন এবং সেখান থেকে পালিয়ে আসার গুল্প শুনিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে।
‘আমি বাড়িতে খুব যত্নে বেড়ে উঠছিলাম। কিন্তু আমরা বাবা ছিলেন অত্যন্ত ইতর। আমার বয়স যখন মাত্র ৮ বছর, তখন বাবা আমাকে প্রথমবার ধর্ষণ করে। তিনি একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী।’
‘আমার বয়স যখন ১১ বছর তখন তিনি আমাকে প্রথম যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেন। আমার একটা ছোট বোন আছে। সে আমার কাছে নেই।’
‘আমি স্কুলে যেতাম। শহরে আমার বন্ধুদের সঙ্গে স্কেটিং করতাম। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে। কিন্তু আমাকে কোথাও যেতে দিতো না। মায়ের সঙ্গেও আমাকে থাকতে দিতো না। কারণ আমাকে নিয়ে ঘুমানোটা তার স্বপ্ন ছিল। অধিকাংশ সময় তিনি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন।’
‘বাবা আমাকে তার সহকর্মী, ব্যবসায়ীক অংশীদারদের বাসা কিংবা অফিসে নিয়ে যেতেন। সেখানে গিয়ে আমাকে একান্তে নিতেন।’
‘আমাকে যখন যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়া হয় তখন প্রত্যেকদিন অনেক মানুষের সঙ্গে মিলিত হতে হয়। সেখানে প্রচুর লোক আসতো।’ ২৮ বছর বয়সে তিনি যৌনপল্লী থেকে বন্ধূদের সহায়তায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। বর্তমানে আটলান্টায় বসবাস করছেন তিনি।
‘আসলে এখন আমি একজন নারী, আমাকে অনেক পূর্ব-সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাবা আমাকে যেভাবে লালন-পালন করেছেন; সেটা তিনি করতে পারেন না। এক সময় তিনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন এগুলো স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি তো এসব করতে পারেন না।’
‘এগুলো আমার মনে পড়ে। কিন্তু আমি আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যারা আমার খোঁজ-খবর নিতেন। আমার বয়স যখন ২৮ বছর; তখন একটি প্রখ্যাত সংস্থার কাছে থেকে সহায়তা পাই। সেখান থেকে আমাকে বের করে নিয়ে তারা ভূমিকা রাখে। পল্লী থেকে বেরিয়ে আসতে মা আমাকে সহায়তা করেন।’
‘পরে অন্য একটি সংস্থা এগিয়ে আসে। তারা আমাকে সেখান থেকে একটি সেফ হাউসে নিয়ে যায়। যে কোনো মানুষের জন্য অত্যন্ত নিষ্ঠুর এক পরিস্থিতি এটি। কিন্তু আপনাকে বলতে হবে যে, এটা ছিল নরকের পরিস্থিতি।’
এসআইএস/এমকেএইচ