টুইটারে নিউজিল্যান্ডের নারীদের হিজাব ট্রেন্ড
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে নামাজের সময় বন্দুক হামলায় অর্ধশত মুসল্লি নিহত হয় গত ১৫ মার্চ শুক্রবার। ঠিক তার এক সপ্তাহ পরে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের অমুসলিম নারীরা সেই মসজিদে হাজির হয় মাথায় স্কার্ফ পরে। মুসলিম নারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সেই হিজাব পড়ার ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশ ট্যাগের মাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে।
দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদ উপস্থাপিকারা হিজাব পরে হাজির হন সংবাদে। তাছাড়া বিভিন্ন নারী সাংবাদিককে দেখা যায় হিজাব পরিধান করে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করছেন। এমনকি পুলিশের নারী সদস্যরাও হিজাব পড়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। শান্ত ছবির মতো নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ সেই বন্দুক হামলার পর শোকের মাতম চলছে পুরো দেশে।
সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে নারীরা অমুসলিম নারীরা হিজাব পরিহিত ছবি পোস্ট করছেন #HeadScarfForHarmony নামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে। মসজিদে হামলার পর থেকেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নও কালো হিজাব পরে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তারপর থেকেই সমব্যথী নিউজিল্যান্ডের নারীরা যেন হিজাব পরে সংহতি জানানোর নজির স্থাপন করছে।
TV news in New Zealand on March 22. #HeadScarfForHarmony pic.twitter.com/6hn3zW7g74
— World HijabDay (@WorldHijabDay) March 22, 2019
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিজাব পরিহিত ছবি পোস্ট করে এক অমুসলিম নারী লিখেছেন, ‘হিজাব পরিধান করে আমরা মুসলিম নারীদের সমর্থন ও সংহতি জানানোর চেষ্টা করছি। কেননা প্রতিদিন অসংখ্য মুসলিম নারী তাদের বিশ্বাস থেকে হিজাব পরিধান করলেও তাদেরকে নানা রকম লাঞ্চণার শিকার হতে হয়।’
দেশটির নারী হেয়ার স্টাইলিস্ট গিমা স্কাই বলেন, ‘বর্তমান অবস্থাতে আমাদের সেলুন হিজাব পরার এই হ্যাশ ট্যাগ সংহতিতে অংশ নিয়েছে। আমরা ক্রাইস্টাচার্চবাসী। গত সপ্তাহে মসজিদে যে নারকীয় হত্যার ঘটনা ঘটে তা আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। যদি কেউ এই সংহতিতে অংশ নিতে চায় তাহলে আমরা বিনামূল্যে হিজাব দিচ্ছি। অনেকে নিচ্ছেনও।’
Policewoman Michelle Evans protecting Muslim men and women, while wearing the Hijab in tribute, yesterday during the One Week anniversary of the #Christchurch massacres. pic.twitter.com/VY6wAQ1lae
— Khaled Beydoun (@KhaledBeydoun) March 22, 2019
মুসলিম নারীদের এই ভয়ের কথা শুনে তাদের সংহতি জানানোর কথা ভাবেন অকল্যান্ডের চিকিৎসক থায়া অ্যাশম্যান। তিনি ভাবেন এই সময়ে নিউজিল্যান্ডের সব নারীর উচিত ভীত মুসলিম নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা। তাই পরিচিত অন্য নারীদের হিজাব পরে মসজিদে সংহতি জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
মুসলিম নারীদের প্রতি সংহতি জানানো ওই অমুসলিম নারী বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই আমরা আপনাদের সঙ্গেই আছি। আমরা চাই আপনারা যেন বাড়ির বাইরেও নিজেকে নিরাপদ মনে করেন। আমরা আপনাদের ভালোবাসি। আপনাদের প্রতি আমাদের সমর্থন ও শ্রদ্ধা আছে।’
এসএ/পিআর