ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

শুক্রবারের আজান সম্প্রচার করবে নিউজিল্যান্ডের রেডিও ও টেলিভিশন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের এক সপ্তাহ পূরণ হবে আগামী শুক্রবার। সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে এই দিন দেশটির সরকারি বেতার ও টেলিভিশনে জুমআর নামাজের আজান সরাসরি সম্প্রচারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে নিহতদের স্মরণে ওইদিন দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। বুধবার ক্রাইস্টচার্চের একটি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

দেশটির ইংরেজি দৈনিক নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড বলছে, স্বাভাবিকভাবে যে কোনো প্রাণঘাতী নৃশংসতার পর এক মিনিটের নীরবতা পালনের রেওয়াজ থাকলেও ক্রাইস্টচার্চ হামলার ভয়াবহতার কারণে এবার দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হবে।

এর আগে ২০১০ সালে পাইক রিভার বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বশেষ দুই মিনিটের নীরবতা পালন করে নিউজিল্যান্ড।

এদিকে, ক্রাইস্টচার্চ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত দু'জন সিরীয় শরণার্থীকে বুধবার দাফন করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, তাদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব ছিল আমাদের। নিহত ৫০ জনের মধ্যে ৩০ জনের মরদেহ তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

ক্রাইস্টচার্চ হামলার প্রতিশোধ নিতে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দেয়া হুমকির ব্যাপারে আর্ডার্ন বলেন, নিউজিল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়, চরমপন্থা, সহিংসতা ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আল নূর মসজিদ আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে সবার আগে পৌঁছানো পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বুধবার সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। সেখানে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করায় তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

গত শুক্রবার অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত উগ্রপন্থী শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী বেন্টন ট্যারান্ট ক্রাইস্টজচার্চের দুটি মসজিদে আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক নিয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে অন্তত ৫০ জন মুসল্লির প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো কমপক্ষে ৪৯ জন। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মসজিদে এই সন্ত্রাসী হামলার পর সোমবার নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা দেশটির অস্ত্র আইন সংশোধনে সায় দিয়েছে। দেশটির বর্তমান আইনের সুযোগ নিয়ে হামলাকারী ট্যারেন্ট একসঙ্গে একাধিক অস্ত্র কিনেছিল।

সূত্র : নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।

এসআইএস/জেআইএম

আরও পড়ুন