যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদে নামাজের সময় পাহারা দিচ্ছেন অমুসলিমরা
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালীন শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের অনুসারী ব্রেন্টন ট্যারান্টের নির্বিচার গুলিতে ৫০ জন মুসল্লি নিহত হন। নৃশংস ওই হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি মসজিদে নামাজের সময় অমুসলিমদের পাহারা দিতে দেখা গেছে।
দেশটির স্থানীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া মসজিদে নামাজ চলাকালীন অমুসলিমদের পাহারা দেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন দেশটির অনেক নাগরিক।
আরও পড়ুন>> মসজিদে হামলা : নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে কোরআন তিলাওয়াত
প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কোনো বিস্তারিত সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় অনেক গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মসজিদে অমুসলিমদের পাহারা দেয়ার এমন ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে একটি মসজিদে।
কিরি বেলডন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত শনিবার নামাজ চলাকালীন সেখানকার এক মসজিদের সামনে তিনি একটি মানববন্ধন দেখতে পান। মানববন্ধনটি তৈরি করেছে অমুসলিমরা। মসজিদে যাতে মুসল্লিরা নিরাপদে নামাজ আদায় করতে পারে তাই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দিতিয়া ডেন্স নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী সেই মানববন্ধনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, নিউজিল্যান্ডে দুটি মসজিদে নামাজরত অবস্থায় অর্ধশত মুসল্লিকে হত্যার পর মুসলিমদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এমন পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিউজিল্যান্ডে হামলার ঘটনার পর থেকে সেখানকার মসজিদে যখনই নামাজ শুরু হয় তখন মসজিদের বাইরে অমুসলিমরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তিনি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘চলুন শান্তি আর ভালোবাসা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেই।’
আরও পড়ুন>> সংসদে সালাম দিয়ে বক্তৃতা শুরু করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সংবাদে আরও জানানো হয়, ওই অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরেই মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিরা সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছেন। তারা একে অপরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। এমনকি তাদের এই সম্পর্কটার নামই হয়ে গেছে ফেইথ ট্রাইও বা বিশ্বাসের ত্রয়ী।
এসএ/এমএস