মসজিদে হামলাকারীর ফাঁসি চান তার বোন
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যাকারী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্টের ফাঁসি চান তার চাচাতো বোন। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে বসবাসকারী ট্যারেন্টর বোন জানিয়েছেন, মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের হামলাকারী ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালিয়ে ট্যারান্ট ৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এটা জানার পর থেকে মনে হচ্ছে, তার আত্মীয় হওয়াটা আমার জন্য দুর্ভাগ্যের।
অবশ্য ট্যারান্টের বোন আরও জানান, ঘাতক ব্রেন্টন ট্যারান্ট খুব ভালো পরিবারের সন্তান। তার বাবা-মাকে কমিউনিটির সবাই খুব সম্মান করতো। কিন্তু সেই সম্মান একেবারে নিচে নামিয়ে দিল ট্যারান্ট। খ্রীষ্টান ধর্মালম্বী শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী ট্যারান্ট গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা ও অর্ধশতাধিক মানুষকে আহত করেছেন।
ট্যারান্টের সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত আরও তিনজনের মধ্যে এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত বর্ণবাদী হামলাকারী ট্যারান্ট টুইটার মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালানোর সময় ফেসবুকে তা লাইভ করছিলেন। যেই ভিডিও পরে সবার কাছে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রেন্টন ট্যরান্ট নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করেন। হামলার আগে সে টুইটারে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামে ৭৩ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি কথিত ইশতেহার প্রকাশ করে। যা হামলার দশ মিনিট আগে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান তিনি।
নিজেকে শ্বেতাঙ্গ বলে পরিচয় দিয়ে ট্যারান্ট আরও বলে, সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করে কারণ ট্রাম্প শেতাঙ্গদের প্রতিনিধিত্ব করে। ব্যক্তিগতভাবে সে মুসলিম বিদ্বেষী এবং মুসলমানদের প্রচণ্ড রকম অপছন্দ করে করে বলে তার ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।
এসএ/এমএস