কারাগারে বন্দিদের অন্যতম টার্গেটে হামলাকারী ট্যারেন্ট
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলাকারী বেন্টন ট্যারান্টকে কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে ‘মোস্ট টার্গেটেড পারসন’ হিসেবে রাখা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের দৈনিক হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। শুক্রবারের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতক ট্যারান্টকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে ট্যারেন্টর সেই নির্বিচারে গুলি বর্ষণের ঘটনায় ৫০ মুসল্লি নিহত হয়েছে। সেই হামলার পর তাকে আদালতে নেয়া হয়। ট্যারান্ট বলছেন, তাকে গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা চিহ্নিত করে রেখেছে। উল্লিখিত সেই গ্যাংয়ের এক সদস্য হেরাল্ডকে বলেন, আমরা বন্ধুকেও ভেতরে পাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
ক্যান্টাবুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও অপরাধ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রেগ নিউবোল্ড ট্যারান্টের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশে করেন। নিজেও একসময় কারবন্দি সেই অধ্যাপক বলেন, ‘এমন হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। আমি এমন হুমকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি বলতে চাই সে এখন চরম বিপদের মুখে আছে।’
অপরাধ বিষয়ক ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘কারাগারে থাকা অন্য বন্দিরা এ বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। বিশেষ করে সে একজন শ্বেত উগ্রবাদী। কেননা বন্দিদের বেশিরভাগই ট্যারান্টের মতো শ্বেত নয়। তাছাড়া ট্যারান্ট সেখানে কোনো শ্বেত বন্দিকে বন্ধু হিসেবে পাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, কারগারে শ্বেতাঙ্গরা অন্যদের চেয়ে সংখ্যায় অনেক কম। আর তাই সবসময় তাদের মাথা নিচু করে রাখতে হয়। আর এ কারণেই ক্ষিপ্ত অন্য বন্দিরা ঘাতক ট্যারান্টের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে। যদি ট্যরান্ট গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে বাকি জীবন কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে থাকতে হবে।
এসএ/পিআর