ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা : এরদোয়ানের ডাকে বৈঠকে বসছে ওআইসি
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আহ্বানে আগামী ২২ মার্চ ইস্তাম্বুলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমদু কুরেশি ওআইসির ওই বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, ‘ইসলাম বিদ্বেষের লাগাম টানতে কৌশলগত করণীয় নির্ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার জুমআর নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট বন্দুক হামলা চালায়। এতে ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো অন্তত ৪৯ জন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন এই হামলাকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন।
শাহ মেহমদু কুরেশি বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার নিন্দা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এক সিনেটরের মাথায় এক কিশোরের ডিম নিক্ষেপ-সহ বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটছে। একই ধরনের একটি ঘটনা লন্ডনেও দেখা গেছে। তিনি বলেন, যদি পুরো ওআইসি এবং মুসলিম বিশ্ব একই কণ্ঠে কথা বলে, তাহলে সেটি অনেক ওজন বহন করবে।
ক্রাইস্টচার্চের হামলার ব্যাপারে কুরেশি বলেন, তিনি নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি জানিয়েছেন, হামলাকারী দুটি মসজিদে তাণ্ডব চালিয়েছে। আর পুরো ঘটনা ঘটেছে মাত্র ৩৫ মিনিটের মধ্যে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী ওই হামলার উদ্দেশ্য জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে নিউজিল্যাণ্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
কুরেশি বলেন, নিহত ছয় পাকিস্তানিকে ক্রাইস্টচার্চে দাফন করতে রাজি হয়েছেন তাদের স্বজনরা। এছাড়া অন্য তিনজনের মরদেহ দেশে ফেরত আনার আবেদন করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারীকে ঠেকাতে গিয়ে প্রাণহারানো পাকিস্তানি নাগরিক নাইম রশীদকে আগামী ২৩ মার্চ মরণোত্তর পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন মেহমুদ।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এসআইএস/জেআইএম