নিউজিল্যান্ডে এক বছর ধরে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ নেন ব্রেন্টন
নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট দেশটির একটি রাইফেল ক্লাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। রাইফেল ক্লাবটি অবস্থিত দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দ্বীপাঞ্চল ওটাগোতে। মূলত সামরিক বাহিনীর আদলে তৈরি রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। দৈনিক নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ঘাতক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নিউজিল্যান্ডের ডানেডিন শহরের দক্ষিণে অবস্থিত ব্রুস রাইফেল ক্লাবের অন্য সদস্যদের মতোই ছিলেন। তিনি আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনায় ছিলেন বেশ দক্ষ। তাছাড়া ক্লাবের সব নিয়ম তিনি মেনে চলতেন।
হেরাল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বেন্ট্রন ২০১৭ সাল থেকে ডানেডিনে বসবাস করছেন। রাইফেল ক্লাবে তিনি যোগ দে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। তাছাড়া মসজিদে হামলার আগে ঘাতক অনলাইনে যে ইশতেহার পোস্ট করেন সেখানেও তার আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যাপারটি জানানো হয়েছে।
হামলার একদিন পর ওই ক্লাবের সদস্যরা জানতে পারেন যে, মসজিদে নৃশংস বন্দুক হামলা চালিয়ে ৪৯ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া ঘাতক তাদের ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ব্রেন্টন ট্যারান্ট এআর-১৫ রেঞ্জের বন্দুক ও শিকারের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ক্লাবের অন্য সদস্যরাও তার প্রশিক্ষণের কথা নিশ্চিত করেন।
ব্রুস রাইফেল ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কট উইলিয়ামস বলেন, ‘বেন্টন অন্য সবার মতো প্রতিদিন আসতো। আমরা আমাদের সদস্যদের ভালো পর্যবেক্ষণের মধ্যেই রাখি। অস্ত্র-সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ করবে সদস্যরা তা অনুসরণ করে। তবে আমরা তো এটা বলতে পারি না যে কে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি কেননা আমরা এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে তেমন কাউকে দেখিনি।’
স্কট উইলিয়ামস বলেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি যত দূর মনে করতে পারেন ঘাতক ট্যারান্ট এআর-১৫ রাইফেলের প্রশিক্ষণ নেন। দেশটিতে যাদের অস্ত্র রাখার লাইসেন্স আছে সে এ ধরনের রাইফেল রাখতে পারেন কিন্তু সেটা সবার জানা থাকতে হবে।
এসএ/এমকেএইচ