নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি কেন্দ্রীয় মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জন। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে এই হামলার পেছনে আরও অপরাধীরা জড়িত থাকতে পারে।
ডিনস এভে অবস্থিত মসজিদ আল নুর এবং লিনউড এভের লিনউড মসজিদে গোলাগুলির ঘটনায় ২৭ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় বেশ কয়েকটি সূত্র।
কমপক্ষে দু'জন বন্দুকধারী ওই হামলা চালিয়েছে। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। যখন তিনি মসজিদে হামলা চালাচ্ছিলেন তখন নিজেই সেই দৃশ্য ভিডিও করেছেন। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে যে, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের বাইরেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় ছয় মিনিট ধরে হামলা চালানো হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রথমে মসজিদের বাইরে গুলি চালানো হয়েছে। এরপর হামলাকারী মসজিদের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। মেঝেতে পড়ে থাকা মৃতদেহের ওপর একের পর এক গুলি চালিয়ে যায় হামলাকারী। সে প্রায় তিনবার তার গুলি রিলোড করেছে। সে সব দিক থেকেই গুলি ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।
মসজিদ আল নুরে থাকা প্রায় দুইশো জনের মধ্যে একজন হলেন মোহন ইব্রাহিম। তিনি সেখান থেকে কোনমতে পালিয়ে বেঁচেছেন। তিনি ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে চালানো ওই হামলা সম্পর্কে বলেন, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটা ইলেক্ট্রিক শক। পরে সবাই পালাতে শুরু করে। সেখানে অনেকেই মারা গেছে এবং বহু লোক আহত হয়েছে। আমার বেশ কিছু বন্ধু এখনও ওই মসজিদের ভেতরে রয়েছে। আমি আমার বেশ কয়েকজন বন্ধুকে ফোন করছি কিন্তু তারা ফোন ধরছে না। আমি তাদের জীবন নিয়ে আতঙ্কিত।
ওকফোর্ড ক্লোজের বাসিন্দা রবার্ট ওয়েদারহেড নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলাকারীর গায়ের রং ফর্সা। তার বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর। তিনি একটি ইউনিফর্ম পরা ছিলেন। কিন্তু এটা কিসের ইউনিফর্ম তা বোঝা যায়নি। তার পায়ের কাছে আরও অনেকগুলো ম্যাগজিন বাধা ছিল।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে ক্রাইস্টচার্চে। তবে ভয়াবহ ওই হামলা থেকে টাইগার সদস্যদের সবাই অক্ষত রয়েছেন। আজ (শুক্রবার) পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে এ ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামদের।
টিটিএন/এমএস