বিধ্বস্ত বিমানটিতে ৩০টির বেশি দেশের নাগরিক ছিলেন
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি রোববার ১৫৭ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে তাতে ৩০টির বেশি দেশের নাগরিক ছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিমান সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের সিইও এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে উড্ডয়নের মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত বিমানটিতে ৮ জন ক্রুসহ ১৫৭ আরোহী ছিলেন। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উদ্দেশে যাত্রা করার পর বিধ্বস্ত ওই বিমানটির কোনো আরোহী আর বেঁচে নেই বলে দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যমকে জানিয়েছেন বিমান সংস্থাটির একজন মুখপাত্র।
আরও পড়ুন>> বেঁচে নেই ইথিওপিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের কেউই
বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত আরোহীদের মধ্যে কেনিয়ার ৩২ জন আর ইথিওপিয়ার ৯ জন নাগরিক ছিলেন। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইতালির নাগরিক ছিলেন ৮ জন করে।
বিমান বিধ্বস্তের ওই ঘটনায় যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন ৭ জন করে। তাছাড়া মিসরের নাগরিক ছিলেন ৬ জন, নেদারল্যান্ডসের ৫ জন, ভারত ও স্লোভাকিয়ার ৪ জন করে, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ও রাশিয়ার ৩ জন করে, মরক্কো, স্পেন, পোল্যান্ড ও ইসরায়েলের ২ জন করে নাগরিক ছিলেন বিমানটিতে।
আরও পড়ুন>> ১৫৭ আরোহী নিয়ে ইথিওপিয়ার বিমান বিধ্বস্ত
বেলজিয়াম, সোমালিয়া, নরওয়ে, সার্বিয়া, টোগো, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সুদান, উগান্ডা ও ইয়েমেন প্রত্যেক দেশের একজন করে নাগরিক বিধ্বস্ত ওই বিমানটিতে ছিলেন। তাছাড়া নিহত চার জনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট থাকলেও তাদের জাতীয়তা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দেশটির সরকারি ওই বিমান সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বিমানটি বোল বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে। ছয় মিনিট পর ৮টা ৪৪ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এসএ/পিআর