ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় পতনের মুখে আইএসের শেষ ঘাঁটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৯

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সবশেষ ঘাঁটি সিরিয়ার বাঘিজ শহর থেকে নারী ও শিশুদের সরিয়ে নিয়েছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স বা এসডিএ। আটক করা হয়েছে কয়েকশত আইএস জঙ্গিকে। শিগগিরই শুরু হবে অভিযান।

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বাঘিজ শহর থেকে পালানোর সময় অন্তত ৪০০ আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী এসডিএফ। তাছাড়া কয়েকশত আইএস যোদ্ধা বুধবার আত্মসমর্পণ করেছে বলেও জানিয়েছেন বাহিনীর একজন কমান্ডার। নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও আইএস যোদ্ধা, নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২ হাজার জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷

বাঘিজে বড় ধরনের অভিযান শুরুর আগে জায়গাটি খালি করার জন্য অপেক্ষায় আছে এসডিএফ। এটিই এখন আইএস জঙ্গিদের সবশেষ ঘাঁটি। আইএসের কট্টর যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ আর গুহায় অবস্থান নিয়ে এটি এতদিন দখলে রেখেছে।

এসডিএফ এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে জঙ্গিদের বড় একটি দল আছে যারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়। তবে গত সপ্তাহের শেষে এসডিএফ এর আর্টিলারি ও বিমানবাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণে অনেক যোদ্ধা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।’

অঞ্চলটি থেকে আইএসের উদ্বাস্তু নারী ও শিশুদের সরিয়ে নিতে এসডিএফকে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। উদ্ধারকৃতদের উত্তরপূর্ব সিরিয়ার আলহোল ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী কমিটির হিসাবে ক্যাম্পটিতে এখন ৬০ হাজার বাসিন্দা আছে। যাদের মধ্যে ডিসেম্বরের পর থেকে ৫০ হাজার জনের ঠাঁই হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে যার দুই তৃতীয়াংশই শিশু ও নবজাতক। বুধবার আশ্রয় নেয়াদের মধ্যেও ১১ বন্দি ইয়াজিদি শিশু রয়েছে৷

আত্মসমর্পণকারী একজন ৩০ বছর বয়সি ইরাকি নারী। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি জানিয়েছেন, ‘এক বছর বয়সী অসুস্থ শিশুর কারণেই তিনি এই ঘাঁটি ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু শিশুটির চিকিৎসার জন্যই আমি এই জায়গা ছেড়ে যাচ্ছি।’ এসময় এসডিএফকে অভিশাপ দিচ্ছিলেন তিনি। ক্যাম্পে স্থানান্তরের আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসলামিক স্টেট থাকবে এবং সামনে আরো বিস্তৃত হবে।’তার শিশুটি সেদিন রাতেই ঠাণ্ডায় মারা যায়।

ত্রিশ বছর বয়সী আরেক নারী নিজের পরিচয় দিয়েছেন লুবনা নামে। তিনি বলেন, তার স্বামী এখনো বাঘিজে আছেন। যেখানে থেকে আত্মঘাতী হামলার জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। এপিকে তিনি জানান, ‘তাদের নিজস্ব বিমান আছে। আর সঙ্গে আছে আল্লাহর সহযোগিতা।’ নিজের পাঁচ শিশুকে তিনি জিহাদী হিসেবে গড়ে তুলবেন বলেও জানান এই নারী।

বাঘিজের নিয়ন্ত্রণ হারানোর মধ্য দিয়ে আইএসের খেলাফতের আপাত অবসান হতে চললেও প্রত্যন্ত কিছু অঞ্চলে জঙ্গিরা এখনও লুকিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। বাঘিজের পাশাপাশি সিরিয়ার মধ্য মরু অঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিমান হামলাও চলমান রয়েছে।

সূত্র : ডি ডব্লিউ

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন