রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র পুনর্নিমাণ করছে উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া তাদের একটি রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র পুননির্মাণে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত স্যাটেলাইটের বেশ কিছু নতুন ছবিতে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে ওই উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পিয়ংইয়ং।
সম্প্রতি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এটা ছিল শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন কিম এবং ট্রাম্প।
তাদের মধ্যে প্রথম বৈঠকটি সফল হলেও দ্বিতীয় বৈঠকটি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ কোন চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় বৈঠক। প্রথম বৈঠকে কোরীয় দ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের বিষয়ে একমত হন কিম এবং ট্রাম্প। কিন্তু দ্বিতীয় বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি তারা।
উত্তর কোরিয়ার টোংচাং-রি সাইটটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে সেখানে কখনও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়নি। এই রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি গত বছর থেকেই ধ্বংস করার প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানান কিম। সে কারণেই ওই বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন। কিমের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির প্রাণকেন্দ্র ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের সব গবেষণা এবং উৎপাদন কেন্দ্র ভেঙে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন কিম।
ট্রাম্প বলেন, উল্লেখযোগ্য এই প্রস্তাবের বিনিময়ে নিজেদের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন কিম। কিন্তু এ ধরনের প্রস্তাবের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ছিল না। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র আরও আলোচনা করলেও পিয়ংইয়ং নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না।
ওয়াশিংটনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রিকরণে কোন পদক্ষেপ না নিলে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রকাশিত স্যাটেলাইটের বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে টোংচাং-রির সোহায়ে কেন্দ্র পুননির্মাণের কাজে অগ্রগতি হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সোহায়ে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি।
টিটিএন/এমকেএইচ