ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পুলওয়ামায় ফের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলার রেশ কাট না কাটতেই ফের সেখানে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে জঙ্গি সংগঠন জঈশ-ই-মোহাম্মদ। পুলওয়ামার ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর সংগঠনটির সামাজিক মাধ্যমের একটি গোপন গ্রুপের সদস্যদের বার্তা বিনিময় থেকে এমন ধারণা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে, ‘সদস্যদের মধ্যে এমন একটি বার্তা পাওয়া গেছে যে এই আশঙ্কার ভিত তৈরি করেছে। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘এবার তাদেরকে আরও বড় খেলা দেখানোর প্রস্তুতি নাও।’’ এমন বার্তা গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।’

গোয়্ন্দারা ধারণা করছেন, তারা এমন কথা বলার মাধ্যমে নতুন হামলার ছঁক কষছে। সামাজিক মাধ্যমে ওই গোপন গ্রুপটির নাম তানজিম। কাশ্মীর উপত্যকায় তানজিম বলতে বোঝায়, জিহাদিদের সাহায্যকারী ছোট ছোট দল, যারা যোদ্ধাদের সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে।

এমন বার্তা পাওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। ইতিমধ্যেই সে বার্তা দেয়া হয়েছে, সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কাছে তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, বার্তার জের ধরে আরও কিছু তথ্য তাদের হাতে এসেছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের হামলার লক্ষ্য হতে পারে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার চৌকিবল ও টাংধারের মধ্যবর্তী কোনো স্থান। জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার কারণ এই অঞ্চলে একাধিক সেনা ঘাঁটি রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, হামলার লক্ষ্য হতে পারে এসব ঘাঁটি।

পুলওয়ামার হামলার দায় স্বীকার করে জঈশ-ই-মোহাম্মদ। পুলওয়ামায় হামলাকারী আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল হাসান দারকে নিয়ে নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আনতে চলেছে সশস্ত্র সংগঠনটি। এসব ভিডিও প্রচার করার মাধ্যমে সংগঠনটি নিজেদের প্রচারের পাশাপাশি তরুণ ও কিশোরদের দলে যুক্ত করতে ব্যবহার করে।
তবে গোয়েন্দাদের এক পক্ষ অবশ্য সন্দেহ করছে, পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ভুল পথে পরিচালিত করতেও এমন বার্তা চালাচালি করছে জঙ্গিরা। তাই পুলওয়ামা হামলার পর রাজ্যের তিনটি বিমান বন্দর জম্মু, শ্রীনগর ও লেহ’তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত সেসব অঞ্চলে ১২শ’র বেশি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে বিস্ফোরক নিরোধী গাড়ি তরুণ ও বিস্ফোরক চিহ্নিতকরণের অত্যাধুনিক যন্ত্র। ধারণা করা হচ্ছে, গোয়েন্দাদের ভুল পথে পরিচালিত করে বিমানবন্দরেও হামলার চেষ্টা চালাতে পারে জঙ্গিরা।

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন