কাশ্মীরসহ ৩ স্থানে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের
গত বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি দিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ-এর গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ৪০ সদস্য নিহত হয়। হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই মুহাম্মদ।
ভারতের গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরেই কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছিল জয়েশ-ই-মুহাম্মদের ২১ সদস্যের একটি দল। ওই দলে তিন আত্মঘাতী সদস্য ছিল। তারা কাশ্মীর ছাড়াও আরও দুই জায়গায় তিনটি আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুল রশিদ গাজী ওরফে কামরান ওরফে আফগানি এবং জয়েশ-এর প্রধান মাসুদ আজহারের ভাতিজা মুহাম্মদ উমর। সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে কামরান এবং তার আরও দুই সহযোগী নিহত হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার পিঙ্গলান এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে গোপন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। তল্লাশি চালানোর সময় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ চার সেনা নিহত হয়েছেন। দু'পক্ষের লড়াইয়ে এক বেসামরিকও নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গত বছরের অক্টোবরে মাসুদ আজহারের ভাতিজা ইসমান হায়দারের মৃত্যু এবং সংসদে হামলার ঘটনায় জড়িত আফজাল গুরুর ফাঁসির প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল জঙ্গিদের ওই দলটি। উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সশস্ত্র দলটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল।
এর মধ্যে একটি দলের নেতৃত্ব থাকার কথা ছিল মুদাসির খানের এবং অপরটির সাহিদ বাবার। কিন্তু গত ১ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় সাহিদ। পরে কাশ্মীরি আদিল মুহাম্মদকে ১৪ তারিখের হামলার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। আর অপর দুই আত্মঘাতী বিস্ফোরক জম্মু ও অন্যত্র হামলা চালাবে বলে ঠিক করা হয়।
টিটিএন/পিআর