ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

২ হাজার পাক বন্দীকে মুক্তির নির্দেশ সৌদি প্রিন্সের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সৌদি আরবে কারাবন্দী থাকা দুই হাজারের বেশি পাকিস্তানি নাগরিককে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার সকালে প্রিন্স সালমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সৌদিতে বসবাসকারী পাক নাগরিকদের জন্য যতটুকু সম্ভব কাজ করে যাবে তার দেশ।

তার এই ঘোষণার পরেই তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সৌদিতে বিভিন্ন জেলে থাকা দুই হাজারের বেশি পাক নাগরিককে তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন এমবিএস হিসেবে পরিচিত ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

রোববার রাতে ক্রাউন প্রিন্সকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমবিএসের প্রতি একটি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি সে সময় সৌদিতে অবস্থানরত পাকিস্তানি শ্রমিকদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন এবং তাদেরকে নিজের লোক হিসেবে দেখার জন্য ক্রাউন প্রিন্সকে অনুরোধ জানান।

ইমরান খান বলেন, বর্তমানে প্রায় তিন হাজার পাকিস্তানি বন্দী সৌদির বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন। আমরা আপনাকে এটা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এরা খুবই দরিদ্র, যারা নিজেদের পরিবার-পরিজনকে রেখে সৌদিতে পাড়ি দিয়েছেন।

সে সময় ক্রাউন প্রিন্স বলেন, আমরা পাকিস্তানকে না করতে পারি না... যাই হোক আমরা যতটুকু করতে পারি তা করব। এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানি কাজ করেন। তাদেরকে নিজের লোক হিসেবে দেখার আহ্বান জানানোর প্রেক্ষিতে ক্রাউন প্রিন্স বলেছেন, সৌদিতে আমাকে পাকিস্তানের দূত হিসেবে বিবেচনা করুন। তার এই কথায় তিনি পাকিস্তানের সব মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

এক টুইট বার্তায় ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, পাক প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে সৌদির বিভিন্ন কারাগার থেকে ২ হাজার ১০৭ জন পাকিস্তানি বন্দীকে তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

পাকিস্তানি বন্দীদের তাৎক্ষণিক মুক্তির নির্দেশের ব্যাপারে ক্রাউন প্রিন্সের সম্মতির কথা নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিও। তিনি জানিয়েছেন, যারা মুক্তি পাচ্ছেন না তাদের মামলা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়ায় ক্রাউন প্রিন্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পাকিস্তানের জনগণ।

টিটিএন/পিআর

আরও পড়ুন