পাকিস্তানকে একঘরে করতে ভারতের দৌড়ঝাঁপ শুরু
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত বৃহস্পতিবার এক গাড়ি বোমা হামলায় ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) অন্তত ৪০ জন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় পাক-ভারত সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হামলার পর দিল্লি পাকিস্তানকে একঘরে করার যে ঘোষণা দেয় তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে দেশটি।
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তবে ভারতের এ আলোচনায় বাধা দিচ্ছে চীন। কেননা নিরাপত্তা পরিষদের এই শক্তিশালী দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ মাখামাখি।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকে এই বিষয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়। সেখান থেকেই এ নিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশনা আসে।
হামলার পরদিন শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এক বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরের ওই হামলায় পাকিস্তানের ‘সরাসরি হাত’ রয়েছে। আর এ সংক্রান্ত ‘অকাট্য প্রমাণ’ তাদের কাছে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাকিস্তানকে একঘরে করতে ভারত সব রকম কূটনৈতিক চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন>> সেনাবাহিনীকে পাল্টা আক্রমণের ছাড়পত্র দিলেন মোদি
কাশ্মীরের ইতিহাসে ভয়াবহ এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জঈশ-ই-মোহাম্মদ। আর এই সশস্ত্র সংগঠনটির প্রধান মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ব্যপারে ভারত অনেকদিন ধরে চেষ্টা করলেও চীনের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়, যেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ অনুমোদন কমিটিতে সন্ত্রাসীদের তালিকা যে প্রস্তাব করা হয়েছে তারা যেন তাতে সমর্থন দেয়। প্রস্তাবিত ওই তালিকায় জঈশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি করছে ভারত।
এসএ/এমকেএইচ