ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে হামলার মূল হোতা আফগানিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বৃহস্পতিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন জঙ্গি সংগঠন জঈশ-ই-মহম্মদের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার এবং আফগানিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞ ও বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ আব্দুল রশিদ গাজী। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আব্দুল রশিদ গাজী এই হামলার প্রধান সংগঠক। ধারণা করা হচ্ছে, গত বছরের ডিসেম্বরে এই হামলার পরিকল্পনার কাজ শুরু হয়। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পুলয়ামায় শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কের ওপর ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যদের বহনকারী দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে জঙ্গিরা হামলা চালালে ৪০ সেনা নিহত হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে জঈশ-ই-মহম্মদ।

সূত্রের বরাত দিয়ে গোয়েন্দারা দাবি করছেন, এই হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং এর নেপথ্যে অনেক কারণ রয়েছে। প্রথম কারণটি হলো, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল ভারতের সংসদে হামলার মূল হোতা আফজল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকী। আর তাই তারা একটা বড় হামলা করতে চেয়েছিল যাতে গোটা ভারত কাঁদে।

গোয়েন্দা সূত্রমতে, হামলার অনেক আগেই উপত্যকায় প্রবেশ করেছিল হামলাকারীরা। গত মাসে জম্মু-কাশ্মিরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় জঈশ-ই-মহম্মদ সদস্য তলহা ও উসমান। তারা দু’জনই ছিল মাসুদ আজাহারের ভাতিজা। তারপর থেকে জঈশ-ই-মহম্মদ প্রতিশোধ নিতে তার গাজী বাহিনীকে সেখানে পাঠায়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তারা উপত্যকায় অনুপ্রবেশের মাধ্যমে সেখানে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ধারণা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের শেষে তারা পুলওয়ামায় পৌঁছায় যাত্রীবাহী গাড়িতে করে।

পুলওয়ামায় পৌঁছানোর পর থেকেই শুরু হয় হামলা। গত ১০ ফেব্র‌ুয়ারি শ্রীনগরের লালচকে সিআরপিএফ এর গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করে। ওই হামলায় সাত নিরাপত্তারক্ষী ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হন।

গোয়েন্দাদের মতে, এই হামলার মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের মূল হামলার ছক থেকে গোয়েন্দাদের নজর পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল। আর এসব ছোট ছোট হামলা চলতে চলতেই ১৪ ফেব্র‌ুয়ারি পুলওয়ামায় ভারতের স্বাধীনতার পর জম্মু-কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটলো।

এসএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন