থাইল্যান্ডে ফের অভ্যুত্থান?
রাজকুমারী উবোলরত্ন থাইল্যান্ডের আসন্ন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার থাই এই রাজকুমারী তার সব রাজ খেতাব বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণার পর অভ্যুত্থানের গুজব উঠে। এমন অবস্থায় সোমবার থাই জান্তা প্রধান প্রায়ূত চ্যান-ও-চা অভ্যুত্থানের গুজবকে ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আগামী ২৪ মার্চ দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাজকুমারী উবোলরত্ন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মিত্র একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
থাই রাজা মাহা বাজিরালঙ্করণের বড় বোন ও রাজকুমারী উবোলরত্নকে আগামী ২৪ মার্চের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে সিনাওয়াত্রার রাজনৈতিক দল থাই রাকসা চার্ট পার্টি ঘোষণা দেয়ার পর অভ্যুত্থানের গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন : নিজেদের জন্যই শেখ হাসিনাকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র
তার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজকুমারীর নজিরবিহীন রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে সমালোচনা করেন রাজপরিবারের এক সদস্য। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাজতন্ত্র। রাজার বোনের প্রার্থীতা ঘোষণাকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একই সঙ্গে থাই রাকসা পার্টির নিবন্ধন বাতিলের ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি। রাজকুমারীর নাম ব্যবহার কারণে থাকসিন সিনাওয়াত্রার এই দলের নিবন্ধন বাতিল করার ব্যাপারে সোমবার দেশটির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ আলোচনা করবে। উবোলরত্নের নাম ব্যবহার অসাংবিধানিক কিনা সেটিও পর্যালোচনা করবে তারা। দলটির নিবন্ধন বাতিল করতে এটি প্রথম পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : পদ্মার মা ইলিশ সরিয়ে নিতে ভারতের নতুন কৌশল
দেশটির রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্ষমতাসীন জান্তা প্রধান প্রায়ুত চ্যান-ও-চার বিরুদ্ধে আসন্ন অভ্যুত্থান সম্পর্কে বিতর্ক এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ একটি পদে রদবদলের জেরে থাইল্যান্ডে টুইটারে শীর্ষ ১০টি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে #অভ্যুত্থান।
কিন্তু সোমবার সকালের দিকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাককে ক্ষমতাচ্যুত করার মূলহোতা হিসেবে পরিচিত সাবেক সেনাপ্রধান সেই অভ্যুত্থানের গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
অভ্যুত্থানের গুজবের ব্যাপারে তিনি বলেন, গুজব...? আমরা তদন্ত করছি। ভুয়া খবর। ১৯৩২ সালে পূর্ণ রাজতন্ত্রের অবসানের পর থেকে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে প্রায় ১২ বার ক্ষমতায় গেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সূত্র : এএফপি।
এসআইএস/এমএস