একটিমাত্র দুর্ঘটনা, ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিলেন প্রিন্স ফিলিপ
দ্য ডিউক অব এডিনবার্গ এবং ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ তার ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রিন্সের গাড়ি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় একজন নারী আহত হন।
সেই দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে এবার গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিলেন তিনি। শনিবার বাকিংহাম প্যালেস থেকে এ বিষয়ে ঘোষণা আসে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন বার্তা সংস্থা সিএনএন। রোববার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খুব ভেবেচিন্তেই দ্য ডিউক অব এডিনবার্গ তার গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে ঘটে যাওয়া ওই গাড়ি দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দ্য ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের (সিপিএস) কাছে পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপরই ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে প্রিন্স ফিলিপের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে কিনা।
সিপিএসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা এ-সংক্রান্ত প্রতিটি ফাইল খুব ভালোভাবে খতিয়ে দেখবেন এবং প্রিন্সের ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় করা হবে। এর পরই তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত ১৭ জানুয়ারি রানি এলিজাবেথের সান্দ্রিংহাম এস্টেটের কাছে এ১৪৯ সড়কে এমা ফেয়ারওদারের গাড়ির সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের ল্যান্ড রোভারটির সংঘর্ষ হয়। তাতে অবশ্য প্রিন্স ফিলিপ আহত হননি। পরে অবশ্য ব্রিটিশ রাজপুত্র এক চিঠিতে সেই নারীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
নীল কালিতে লেখা সেই চিঠিতে প্রিন্স ফিলিপ বলেন, ‘আমি দুঃখিত। আমার দিক থেকে জানাতে চাই সেই দুর্ঘটনার জন্য কতটা ব্যথিত হয়েছি আমি। আমি শুধু এটা কল্পনা করতে পারছি গাড়িটা যে আসছিল তা আমি দেখতে ব্যর্থ হয়েছি। পুরো ঘটনাটার জন্য আমি খুবই অনুতপ্ত।’
তবে ওই দুর্ঘটনায় সংঘর্ষে জড়ানো অন্য গাড়িটির ২৮ বছর বয়সী নারী চালকের হাঁটু সামান্য কেটে যায়। তাছাড়া কব্জি ভেঙে যায় গাড়িটিতে থাকা ৪৫ বছর বয়সী অন্য আরেক নারীর। হাসপাতালে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ফেয়ারওয়েদার নামের ওই নারী সানডে মিররকে অভিযোগ করে জানান, তিনি এখন পর্যন্ত পিন্স ফিলিপের কাছ থেকে নিজের ভুল স্বীকার করে কোনো বক্তব্য পান নি। এরপরই মূলত এমন চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন প্রিন্স ফিলিপ।
২১ তারিখে লেখা প্রিন্স ফিলিপের সেই চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমি দুর্ঘটনা পর অনেক বড় একটা ঝাকুনি খেয়েছিলাম। তবে আমি এটা জানতে পেরে নির্ভার হতে পারছি যে, আপনাদের মধ্যে কেউই মারত্মকভাবে আহত হন নি। আমি যখন জানতে পারলাম আপনি কব্জি ভাঙ্গা হাত নিয়ে পড়ে আছেন তখন থেকেই আমি ব্যাপারটা ভেবে খুব দুঃখ পাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে রানি এলিজাবেথকে বিয়ে করেন প্রিন্স ফিলিপ। ক্রিসমাসের সময় থেকেই রানি এবং প্রিন্স ফিলিপ সানদ্রিগহামে থাকেন। ২০১৭ সালের আগস্টে অবসর নিয়েছেন প্রিন্স ফিলিপ।
এসআর/এমএস