ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সঙ্কটে হাতি, আতঙ্কে রোহিঙ্গারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে হাতি। হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে ৫৭০ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। যারা দিনরাত বনের মধ্যে পাহারা দেন। তাছাড়া বনের পাশের এলাকায় শরণার্থী শিবির গড়ে ওঠায় হাতিগুলোও মুক্তভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে সংকটের মুখে পড়েছে তারা।

হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গঠিত ৫৭০ সদস্যের দলের একজন হলেন নূর ইসলাম। তিনি প্রতিদিন ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাহারা দেয়ার কাজ করেন। নীল রংয়ের টি-শার্ট ট্রাউজার আর হলুদ জ্যাকেট পড়ে প্রতিরাতে তিনি ওয়াচ টাওয়ারে বসে থাকেন যেন কোনো হাতি শরণার্থী ক্যাম্পে ঢুকে না পড়ে। স্থানীয়ভাবে তাদের দলটি টাস্কফোর্স হিসেবে পরিচিত।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে অন্তত ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ওই শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তাছাড়া সব মিলিয়ে এখন সেখানে বসবাস করছে ৯ লাখ রোহিঙ্গা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার পথে হাতির আক্রমণে ১৩ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তারা এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে ৯৫টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করেন। তাছাড়া মানুষকে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে সতর্ক সংকেত দেয়া ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে ঢুকে পড়া হাতিদের বের করে আনতে একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেয়ারও ব্যবস্থা করে সংস্থাটি।

রকিবুল আমিন আরও বলেন, গত ১৮ মাস ধরে রোহিঙ্গারা এ সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মতে, হাতিগুলোকে বনের মধ্যে মুক্তভাবে চলাচল করার জন্য বিকল্প পথ তৈরি করতে হবে। তা নাহলে এ সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ঢাকা প্রতিনিধিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রকিবুল আমিন বলেন, ‘তারা (হাতি) এখন একটা টাইম বোম আতঙ্কের মধ্যে আছে। ধীরগতির এই টাইম বোমের কারণে তাদের ভবিষ্যত আরও সংকটের মুখে। হাতিগুলো এখন চলাফেরা করছে খুব অল্প পরিসরে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দেখা যাবে যে হাতিগুলো খাবারের খোঁজে আশপাশের লোকালয়গুলোতে ঢুকে পড়তে পারে। যা সেই এলাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য হুমকিস্বরুপ।’

এসএ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন