‘বিয়ের আগে কুমারীত্ব পরীক্ষা যৌন হয়রানির শামিল’
বিয়ের আগে কোনো নারীর কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হলে তা যৌন হয়রানির শামিল বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বুুধবার ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের সরকার এমন নির্দেশনা জারি করেছে।
হবু স্ত্রীর পাশাপাশি সদ্য বিবাহিতা নারীর জন্য এই নতুন নিয়ম একইভাবে কার্যকর হবে। মহরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ের আগে কুমারীত্ব পরীক্ষার দীর্ঘদিনের রীতি এখনো চালু রয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রঞ্জিত পাতিল কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শিবসেনার মুখপাত্র নীলম গোরহেও ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
তিনি বলেন, কোনো নারী কুমারী কি-না তা জানতে কোনো ধরনের পরীক্ষা করা যাবে না। কুমারীত্ব পরীক্ষা করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানান এই মন্ত্রী।
আনন্দবাজার বলছে, মহারাষ্ট্রের কাঞ্জরভাট নামে একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রথা প্রকট। গত ৪০০ বছর ধরে তাদের মধ্যে এটি প্রচলিত রয়েছে। বিয়ের রাতে নববধূকে প্রমাণ দিতে হবে যে তার যোনি অক্ষত। এজন্য সাদা চাদরের ওপর স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয়। সম্পর্কের আগে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় মুখোমুখি হতে হবে সম্প্রদায়ের কোনও নারীর।
আরও পড়ুন : কোন গোলাপের কী মানে?
পরে সকালে দাগ লাগা সাদা চাদর দেখাতে হবে রাতভর দরজার বাইরে অপেক্ষায় থাকা মোড়ল-মাতব্বরদের। সাদা চাদরে দাগ দেখেই নববধুর কুমারীত্ব নিশ্চিত করবেন মোড়ল-মাতব্বরা। তারপরই সেই বিয়ে বৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
পরীক্ষায় পাশ না করলেই বিয়ে অবৈধ। সেক্ষেত্রে জনসম্মুক্ষে নববধূকে চরম লাঞ্ছনার মুখোমুখিও হতে হবে। সেখানে সদ্য বিয়ের পীড়িতে বসা তরুণীকে প্রমাণ করতে হয় তিনি বিয়ের আগে কুমারী ছিলেন কি-না। তবে সম্প্রতি এই সম্প্রদায়ের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই প্রথার বিরোধীতা করে আসছেন।
সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার।
এসআইএস/জেআইএম