ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পরকীয়ায় বাধা, যুবকের দেহ টুকরো করে অ্যাসিডে ডোবালেন চিকিৎসক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পরকীয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই এক যুবককে খুনের পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে অ্যাসিডে ডোবানোর অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের আনন্দ নগরে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। জিজ্ঞাসবাদেই নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

অভিযুক্ত সুনীল মন্ত্রী হাড়ের চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরেই ওই চিকিৎসকের গাড়ি চালাতেন ৩০ বছর বয়সী বীরেন্দ্র পাচৌরি। চিকিৎসক এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল ওই গাড়ি চালকের। সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতায় চিকিৎসকের স্ত্রী মারা যান। মৃত্যুর আগে একটি বুটিক হাউস চালাতেন তিনি। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ওই বুটিক হাউসের দায়িত্ব গাড়ি চালকের স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই গাড়িচালক বীরেন্দ্রর সঙ্গে তার স্ত্রীর দাম্পত্য অশান্তি চলছিল। স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও সন্দেহ করতেন বীরেন্দ্র। পুলিশের ধারণা, পথের কাঁটা সরাতেই বীরেন্দ্রকে খুনের পরিকল্পনা করেন চিকিৎসক সুনীল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাড়িতে একটি ড্রামের মধ্যে অ্যাসিড জমা করেছিলেন ওই চিকিৎসক। গত সোমবার দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হয় বীরন্দ্রের। এ বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বলছিলেন তিনি। আচমকাই বীরেন্দ্রর উপর হামলা চালান চিকিৎসক। এরপর অপারেশনের ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেন বীরেন্দ্রর শ্বাসনালী।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মুহূর্তের মধ্যেই মারা যান বীরেন্দ্র। গাড়ি চালকের মরদেহ কমপক্ষে ১২টি টুকরো করা হয়। খুনের প্রমাণ সরিয়ে ফেলতে বাড়িতে জমিয়ে রাখা অ্যাসিডের ড্রামে টুকরো করা অঙ্গ-প্রত্যন্ত ফেলে দেওয়া হয়। খুনের পরের দিন বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ফেলে দেওয়া হয় বীরেন্দ্রর পোশাকও।

পুলিশ সুপার অরবিন্দ সাক্সেনা জানান, প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে তাদের খবর দেন। এরপর চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশি অভিযানেই বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় গাড়ি চালকের অ্যাসিডে ডোবানো দেহাংশ। এছাড়া ঘরেও মেলে রক্তের দাগ। গ্রেফতারের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ওই চিকিৎসক। জেরা শুরুর আগেই নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। পরকীয়া সম্পর্কে পথের কাঁটা সরাতেই বীরেন্দ্রকে খুন করেছে বলে জানান তিনি।

টিটিএন/এমকেএইচ

আরও পড়ুন