ভেনেজুয়েলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোপন বৈঠক গুয়াইদোর
সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সেনাবাহিনীর সমর্থন আদায়ে বৈঠক করেছেন তিনি।
এক সপ্তাহ আগে রাজধানী কারাকাসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে অবৈধ উল্লেখ করে নিজেকে অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো। তারপর থেকেই দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠেছে।
গুয়াইদো নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এরপরই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন মাদুরো। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরও কয়েকটি লাতিন আমেরিকান দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
দেশের ক্ষমতা গ্রহণে বিরোধী দলীয় নেতা গুয়াইদো এবং প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে গুয়াইদোর পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ যেখানে মাদুরোকে সমর্থন দিচ্ছে চীন, রাশিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি শক্তিশালী মিত্র দেশ।
গত মে মাসে ভেনেজুয়েলায় সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন মাদুরো। তারপর থেকেই চরম রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মাদুরো বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধীরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করে আসছে। কারণ নির্বাচনের সময় অনেক প্রার্থীকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি অথবা তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে।
দেশজুড়ে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বুধবার এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিরোধী দলীয় নেতা গুয়াইদোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি গুয়াইদোকে অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সমর্থন করেন। দ্বিতীয় একটি টুইট বার্তায় ট্রাম্প আরও বলেন, স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু হয়ে গেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখা এক প্রতিবেদনে গুয়াইদো বলেন, সশস্ত্র ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আমরা গোপন বৈঠক করেছি। সরকারে পরিবর্তন আনতে মাদুরোর প্রতি সামরিক বাহিনীর সমর্থন তুলে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক বাহিনীতে যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই দেশের চলমান সংকটময় পরিস্থিতি সহ্য করা যাচ্ছে না বলে একমত প্রকাশ করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যারা ‘মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হবেন না’ তাদের সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধীদল।
টিটিএন/আরআইপি