১০ মিনিট দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক
অসুস্থ নানীকে দেখতে মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন এক নারী। সেখান থেকে ফেরার জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তার স্বামী। বলেছিলেন, আধা ঘণ্টার মধ্যে বাসায় ফিরতে। কিন্তু নানীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে ৪০ মিনিট পেরিয়ে যায়। আর এই ১০ মিনিট দেরি করার কারণে ওই নারীর ভাইয়ের মোবাইলে কল করে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছেন তার স্বামী।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের এতাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক তালাক দেয়ার বিধানকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে লোকসভায় একটি আইন পাসের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন : নাইকির জুতায় ফের ‘আল্লাহ’ লেখা
ওই নারী বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমার অসুস্থ নানীকে দেখার জন্য মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমাকে আধা ঘণ্টার মধ্যে বাসায় ফেরার নির্দেশ দেন স্বামী। কিন্তু মাত্র ১০ মিনিট দেরী করেছিলাম। পরে আমার ভাইয়ের মোবাইলে কল করে সে আমাকে তিন তালাক দেয়। তার এ কাজে আমি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছি।’
বিয়ের সময় যৌতুকের দাবি করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই দাবি পূরণ করতে না পারায় মাঝে মাঝেই স্ত্রীকে মারপিট করতেন তিনি।
‘আমি বাড়িতে যখন থাকতাম তখন আমাকে মারধর করতো। মারধরের কারণে একবার আমার গর্ভপাত হয়ে যায়। আমার পরিবার খুবই গরীব, যে কারণে তারা আমার স্বামীর পরিবারকে কিছুই দিতে পারতো না।’
আরও পড়ুন : বদমেজাজী শিশুর চিকিৎসায় গাঁজার বিস্কুট!
তালাকের এ ঘটনায় ওই নারী সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন আমাকে ন্যায় বিচার পেতে সহায়তা করা সরকারের দায়িত্ব, অন্যথায় আমি আত্মহত্যা করবো।’
উত্তরপ্রদেশের আলীগঞ্জের এরিয়া অফিসার অজয় ভাদুরিয়া বলেন, তারা এ ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবেন এবং সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
এসআইএস/আরআইপি